সিরাজগঞ্জে বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ

|

সিনিয়র রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মী দ্বারা হামলার অভিযোগ উঠেছে। উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ও আওয়ামী নেতাকর্মীদের ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের পাইকপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান করার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই হামলার ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য পাইকপাড়া মোড়ে সমবেত হয়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতা কর্মীরা মুখোমুখি হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সড়কের ওপর থাকা ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা বসে থাকা অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ করে। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। আমাদের উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আমরা বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সকালে আমারা দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে শান্তি পূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এসময় জেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় আমাদের নেতাকর্মীদের ১৩ টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে। স্থানীয় দোকানপাটে হামলা চালায়।

সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত জানান, দলীয় নেতা কর্মীরা সড়কের ওপর শান্তি সমাবেশের জন্য ছিলো এ সময় বিএনপির নেতা কর্মীরা এসে অতর্কিত হামলা করে এবং ১২টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।

এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিকে বিঘ্ন ঘটাতে পরিকল্পিত ভাবে আওয়ামী লীগ এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজয়ানুল ইসলাম জানান, খরব পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক করার কাজ চলছে। এদিকে এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এনবি/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply