ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাব

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

মধ্যপ্রাচ্যের হাওয়া বইছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে। সাম্প্রতিক সময়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সৌদি আরব ও কাতার। চলতি বছরই নতুন মালিকানায় দেখা যাবে ঐতিহ্যবাহী এ ইংলিশ ক্লাবকে। এছাড়া পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটি, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মতো বড় বড় ক্লাবের পরিচালনায়ও আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।

সৌখিনতায় নিজেদের সবার থেকে আলাদা করে রাখে মধ্যপ্রাচ্য। শখের বাজপাখি থেকে শুরু করে মরুর বুক দাঁপিয়ে গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে কোনো কিছুতেই কম যায় না আরবরা। ফিফা বিশ্বকাপেও কাতারের চোখ ধাঁধানো আয়োজন মুগ্ধ করেছে পুরো ফুটবল বিশ্বকে। কেবল আয়োজনেই নয় বরং বিশ্বের নামি-দামি ক্লাবের মালিকানা নিতেও দারুণভাবে সিদ্ধহস্ত মধ্যপ্রাচ্য।

১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ পর্যায় প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত রেকর্ড ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্লাবটি। সাম্প্রতিক সময়ে গ্লেজার পরিবারের উপর নাখোশ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকরা। মালিকানা পরিবর্তনের দাবিতে রাস্তায়ও নেমেছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে ম্যানইউ কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সৌদি আরব ও কাতার।

জানা গেছে, কাতারের ব্যাংকার শেখ জসিম বিন হামাদের নেতৃত্বাধীন একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ক্লাবটি কিনে নিতে চাইছে তারা।

ফ্রান্সের প্যারিস এফসি ও সেইন্ট জার্মেই এক হয়ে ১৯৭০ সালে গঠন করে পিএসজি। ফ্রান্সের শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের অন্যতম সফল দল তারা। ২০১১ সালে পিএসজি কিনে নেয় কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ। দেশটির সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গত বছরের অক্টোবরে জানায়, পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং ব্রাগার ২২ শতাংশ মালিকানা কিনবে তারা।

ইংল্যান্ডের পুরোনো ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্যতম নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির ৮০ শতাংশ মালিকানা কিনে নেয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। ২০২১ সালের অক্টোবরে ব্রিটিশ ধনকুবের মাইক অ্যাশলের কাছ থেকে ক্লাবটি কিনে নেয় তারা।

ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান মালিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর। থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কাছ থেকে ২০০৮ সালে কিনে নেন তিনি। ২৫ কোটি ইউরোর বিনিময়ে ক্লাবটি কেনে তারা। আমিরাতি মালিকানায় যাওয়ার পর ম্যানচেস্টার সিটিতে আনা হয় ব্যাপক পরিবর্তন। ফলস্বরূপ প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ ১১ মৌসুমের ৬টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয় সিটি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply