বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে অবাধে চলছে পপি চাষ (ভিডিও)

|

পপিক্ষেত ধ্বংস করছেন বিজিবি সদস্যরা।

বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানে দূর্গম পাহাড়ের গহীন অরণ্যে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ পপি চাষ। যা দিয়ে তৈরি হয় ভয়ংকর মাদক আফিম ও হেরোইন। মাসব্যাপী অভিযানে বিজিবি অন্তত ২৫০ একর পপি ক্ষেত ধ্বংস করলেও, থেমে নেই চাষাবাদ। মিয়ানমার ও ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের মাদক কারবারিরা এক্ষেত্রে সক্রিয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

থানচি থেকে প্রথমে নদী পথে তিন্দু, সেখান থেকে ৪ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে কোআং পাড়া। লোকালয় থেকে দুর্গম পাহাড়ের একেবারে গহীন এ অঞ্চলে পৌঁছে নিষিদ্ধ পপি ক্ষেতের সন্ধান পায় বিজিবি। পপি মূলত: সুন্দর এক বনফুল। কিন্তু ,এ পপির কষ থেকেই তৈরি হয় ভয়ংকর মাদক আফিম ও হেরোইন। বান্দরবানে দুর্গম পাহাড় ও ঝিরি ঝর্ণার কোল ঘেঁষে অবাধে চলছে পপি চাষ।

মাসব্যাপী অভিযানে সন্ধান পাওয়া প্রায় ২৫০ একর পপি ক্ষেত ধ্বংস করে বিজিবি। এ প্রসঙ্গে বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল খন্দকার শরীফুল আলম জানান, দুর্গম পার্বত্যঞ্চলে ২৫০ একরের পপি ক্ষেত আমরা ধ্বংস করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রেখেছি।

দুর্গম পাহাড়ে নজরদারি কম, তার ওপর ফলন ভাল আর দাম বেশি হওয়ায় বন্ধ হচ্ছে না পপি চাষ।

স্থানীয় সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে মাঝে পপি চাষ কমে গিয়েছিল। গত দুই এক বছরে পপি চাষ বেড়েছে।

চাষীদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি স্থানীয়দের। বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, পপি চাষ বন্ধে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও চাষীদের পুনর্বাসন একদমই হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, কোনো আন্তর্জাতিক চক্র এসব গরীব মানুষকে ব্যবহার করছে কী না তা খতিয়ে দেখতে হবে। দ্রুত বন্ধ না করা গেলে এই অঞ্চল মাদকের স্বর্গে পরিণত হবে।

প্রসঙ্গত, এক একর বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয় ৩০-৪০ কেজি পপির রস। যা বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply