টরোন্টোর বিমানবন্দর থেকে হারিয়েছে ১৫ মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ!

|

ছবি: সংগৃহীত

ডরোথি তাসরিন:

কানাডার টরোন্টোয় বিমানবন্দর থেকে খোয়া গেছে ১৫ মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ ও মূল্যবান সামগ্রী। গেলো সোমবার (১৭ এপ্রিল) হয় এ কাণ্ড। নজিরবিহীন এ ঘটনা জানাজানির পর তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশটিতে। কারা এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি করেছিল, কীভাবে খোয়া গেলো- এখনও তা জানা যায়নি। তদন্ত শুরুর পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলোয় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিবিসির খবর।

মূলত অন্টারিও প্রদেশে স্বর্ণ পরিবহনে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় টরন্টোর পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। গেলো সোমবার সন্ধ্যায় এক এয়ারক্রাফটে পৌঁছায় মূল্যবান সামগ্রীর একটি কন্টেইনার। আনলোডের পর রাখা হয় হোল্ডিং ফ্যাসিলিটিতে। কিছুক্ষণ পরই কর্মকর্তারা টের পান, কন্টেইনার থেকে উধাও স্বর্ণসহ মূল্যবান সামগ্রী!

কানাডার ট্যাবলয়েড ‘টরন্টো সান’ প্রথম প্রকাশ করে এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ার কানাডার একটি কার্গোয় ৩ হাজার ৬শ’ পাউন্ড স্বর্ণ আমদানি করা হয়েছিল বিমানবন্দরটি দিয়ে। এর বাজারমূল্য ১০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার।

ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে কানাডা পুলিশ। তারা অবশ্য বলছে, খোয়া যাওয়া স্বর্ণ ও মূল্যবান সামগ্রীর মূল্য ২০ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার। এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও বিরল ঘটনা বলে আখ্যা দেন তারা। স্থানীয় গণমাধ্যমে সংঘবদ্ধ কোনো চক্রের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ নিরাপত্তা বাহিনী। ৫ বর্গফুটের কন্টেইনারটি কোন এয়ারলাইনসে, কোথা থেকে এসেছে, গন্তব্য কোথায় ছিল- তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে এসব তথ্য।

পিল রিজিওনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর স্টিফেন ডুভেস্টিন বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কন্টেইনারটি এয়ারক্রাফট থেকে নামিয়ে হোল্ডিং ফ্যাসিলিটিতে নেয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর হারিয়ে যাওয়ার খবর পাই। কোনো চক্র জড়িত কি না এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত চলছে।

এর আগে, ২০১১ ও ২০১২’তে কানাডার ইতিহাসে অন্যতম বড় দু’টি চুরির ঘটনা ঘটে। কুইবেকের একটি স্টোরেজ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল ৩ হাজার টন ম্যাপল সিরাপ। যার বাজারমূল্য ছিল ১৮.৭ মিলিয়ন ডলার।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply