যে কারণগুলো টাইগারদের জয়ের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে

|

ছবি: সংগৃহীত

শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে বাংলাদেশ। আগেই সিরিজ খুইয়েছিল টাইগাররা। ৭ উইকেটের এই জয়ে লিটন বাহিনী ব্যবধান নামিয়ে আনলো ২-১ এ। মঙ্গলবারের (১১ জুলাই) এই ম্যাচে জয়ের পেছনে প্রধান কারণগুলো কী ছিল? আসুন জেনে নেয়া যাক।

শরীফুল ইসলামের দুরন্ত বোলিং: ধবল ধোলাই এড়ানোর এই ম্যাচে শরীফুল শুরুটা যেমন করার কথা, তেমনটাই করেছেন। ইব্রাহিম জাদরানকে চতুর্থবারের মতো আউট করেছেন। তৈরি করে দিয়েছেন দলের জয়ের রাস্তা। ৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। শুধু উইকেট তুলে নেয়ায় নয়, তার মাপা লাইন লেংথ আফগান ব্যাটারদের এক মুহূর্তের জন্য স্বস্তিতে রাখেনি। এ নিয়ে ১৭ ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো ওয়ানডেতে তার ৪ উইকেট নেয়া হলো।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

সাকিব আল হাসানের অনন্য পারফরম্যান্স: শেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসান ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং, সবখানেই ছিলেন সেরার কাছাকাছি ফর্মে। ব্যাট হাতে ৩৯ রান করলেও বোলিংয়েই মূলত সাকিব ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। গতকাল তিনি ১০ ওভারে ১৩ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই দশ ওভারে সাকিব ৪৮টি বল ডট দিয়েছেন। আফগান ব্যাটাররা তার বল খেলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। কিন্তু, এটাই সাকিবের সেরা ইকোনমিকাল বোলিং নয়। ২০০৯ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল ১০-৪-১১-৩!

লিটন দাশের অধিনায়কত্ব ও দায়িত্বশীল ইনিংস: আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওডিআইতে লিটন দাশের অধিনায়কত্ব ছিল বুদ্ধিদীপ্ত। অধিনায়ক হিসেবে তিনি দলকে উজ্জীবিত রাখতে পেরেছেন। বোলার পরিবর্তন থেকে ফিল্ডিং সেট, সবকিছুতে ক্ষুরধার ছিলেন। শরীরী ভাষাতেও লিটন ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ক্যাপ্টেন যদি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, তাহলে দলের বাকিরাও উজ্জীবিত হয়। লিটন দাশ খেলেছেন ৫৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। টাইগাররা পায় ৭ উইকেটের জয়।

আরও পড়ুন: সমালোচনার নামে অসম্মানের সংস্কৃতি থেকে বের হবার আহ্বান ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের (ভিডিও)

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply