নাইজারের জান্তা সরকারের প্রতি সাধারণ জনতার বিরল সমর্থন

|

দ্য গার্ডিয়ান থেকে সংগৃহীত ছবি।

নাইজারের জান্তা সরকারের প্রতি বিরল সমর্থন দেখাচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ। দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরাতে প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর সংগঠন ইকোয়াস। যা প্রতিরোধে আগ্রহ দেখাচ্ছে নাইজারের হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার জন্য নিবন্ধন করছেন তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে স্টেডিয়ামের বাইরে মানুষের যে ঢল শনিবার (১৯ আগস্ট) দেখা গেছে টা কোনো খেলা দেখার জন্য নয়। বরং দেশের প্রয়োজনে এরা প্রত্যেকেই হাটে অস্ত্র তুলে নিতে প্রস্তুত। এজন্যই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিবন্ধন করতে ভিড় জমিয়েছেন নাইজারের বেসামরিক নাগরিকরা।

রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নাইজারের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা প্রয়োজনে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। যদিও, জান্তা সরকারের প্রতি সমর্থন রয়েছে দেশটির অনেক সাধারণ মানুষের।

এরইমধ্যে নাইজারের বেসরকারি কয়েকটি সংস্থা স্বপ্রণোদিত হয়ে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহে। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছে তারা। তরুণরা দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক মা তাদের কিশোর সন্তানদেরও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিবন্ধন করাচ্ছেন। যদিও সংস্থাগুলোর দাবি, এই স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের সঙ্গে জান্তা সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ প্রসঙ্গে ইউনৌসা হিমা নামের এক বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগকারী বলেন, এটা কোনো সামরিক নিয়োগ নয়। আমরা এমন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ দিচ্ছি যারা দেশ রক্ষায় প্রস্তুত। দেশে আসন্ন আক্রমণ মোকাবেলায় এটা করা হচ্ছে। যুদ্ধ বাধলে তা হবে ইকোয়াসের সেনা আর নাইজারের সাধারণ মানুষের মধ্যকার লড়াই। নাইজারে প্রবেশ করতে হলে তাদেরকে আমাদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই জেনারেল আবদোরাহমানে চিয়ানি, নিজেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply