আমানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

|

রোববার আদালত প্রাঙ্গণে আমানউল্লাহ আমান।

দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১।

দুর্নীতি মামলার রায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমানউল্লাহ আমান। কিন্তু জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আবুল কাশেম।

এর আগে, এই বিএনপি নেতার আত্মসমর্পণকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে আদালতের সামনে জড়ো হন বিএনপির শতশত কর্মী। বেলা ১১টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় কয়েকজনের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাদের বের করে দেয়ার পর পুলিশের ওপর ইট নিক্ষেপ করে বিএনপি কর্মীরা। পরে তাদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালত চত্বরে।

বিএনপি নেতাকর্মীদে অভিযোগ, এ সময় আশপাশের সড়ক ও গলির ভেতর গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর এবং সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরে গত ৩০ মে হাইকোর্ট এ রায় দেন।

এরপর গত ৭ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মামলায় ২৮১ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করেন। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সাবেরা আমান। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এরপর ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী বছর ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply