শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: অর্থমন্ত্রী

|

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফলে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, লেনদেনে ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।

সোমবার জাতীয় সংসদে এমপি মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী এ সময় সরকারের বেশকিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা; রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য সঠিক মূল্যে পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা; বাণিজ্যিক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা ধারণের সীমা হ্রাস করা; ৫ হাজারের ডলারের বেশি প্রবাস আয়ের উৎস প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা বাতিল করা; পাইপ লাইনে থাকা বৈদেশিক অর্থায়ন ছাড়করণ ত্বরান্বিত করার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০২২ সালের আগস্টে একজন মানুষ যে পণ্য ও সেবা ১০০ টাকায় কিনতেন, ২০২৩ সালের একই মাসে একই পণ্য বা সেবা খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯২ পয়সা।

রুগ্ন শিল্পের সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স: মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রুগ্ন শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৯ সালে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি রুগ্ন গার্মেন্টস এবং ২০১১ ও ২০১৫ সালে ১০০টি রুগ্ন টেক্সটাইল শিল্পের ঋণ বিলুপ্তের সার্কুলার জারি করা হয়।

কৃষি ও পল্লী ঋণ: কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি এবং পল্লী ঋণ খাতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ঋণ আকারে বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রুগ্‌ণ শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৯ সালে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি রুগ্‌ণ গার্মেন্টস এবং ২০১১ ও ২০১৫ সালে ১০০টি রুগ্‌ণ টেক্সটাইলশিল্পের ঋণ বিলুপ্তের সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ঋণ আকারে বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আপাতত মোবাইল কলরেট পুনর্নির্ধারণ নয়
সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমানে প্রচলিত কলরেট ২০১৮ সালে মার্কেট পর্যালোচনা, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপাতত কলরেট পুনর্নির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা নেই।

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা ও সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা। সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা হলেও অপারেটরগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১ টাকা মিনিটের কম রেটে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিজাইন (নির্ধারণ) করে থাকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply