শিখ হত্যার তদন্ত চলবে, তবে ভারতের সাথে সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ: কানাডীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী

|

ছবি: সংগৃহীত।

কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও ভারতের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন কানাডীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার। স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন ব্লেয়ার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে। এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় কূটনৈতিক টানাপোড়েন। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে এবার গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন কানাডীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

বিল ব্লেয়ার বলেন, ভারতের সাথে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে চলছে তদন্ত। ভারতীয় হস্তক্ষেপের প্রমাণ মেলায় খুঁটিনাটি সবকিছু সতর্কভাবে যাচাই করা হচ্ছে। দিল্লির সাথে সম্পর্ক বিবেচনায় এটা অটোয়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেটা হবে কানাডার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

এদিকে কট্টরপন্থী হিন্দুদের অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে কানাডা। অসন্তোষ উপেক্ষা করেই চরমপন্থীদের জায়গা দিচ্ছে দেশটি। ফলে একদিকে যেমন দুদেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ছে, অন্যদিকে হিন্দু কট্টরপন্থীদের হুমকি-ধামকি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়। তাদের আশঙ্কা, চাপা উত্তেজনা যেকোনো মুহূর্তে রূপ নেবে অস্থিরতায়।

এ প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের শিরোমনি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটির মহাসচিব গুরুচরণ সিং গ্রেভাল বলেন, কানাডায় বিপুল সংখ্যক শিখদের বসবাস। সেখানে কিছু ঘটলে গোটা সম্প্রদায়ের ওপর পড়বে প্রভাব। শিখদের অকারণে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো হচ্ছে। শত্রুরা বরাবরই ওঁৎ পেতে আছে। কোনো অস্থিরতা ছড়ালে অভিযুক্ত হবেন শিখরা।

তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া ইন্সস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, জনসম্মুখে ভারতের মতো দেশকে গুপ্তহত্যায় অভিযুক্ত করা চাট্টিখানি কথা না। সুতরাং মোদি সরকারের তরফ থেকে কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ সতর্কতা জারির মতো প্রতিক্রিয়া আসতো। সমস্যা সমাধানে অটোয়ার সাথে তদন্তে সহযোগিতা করা উচিৎ দিল্লির। নতুবা হস্তক্ষেপ করবে যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনের মতো তৃতীয়পক্ষ।

/এআই /এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply