ডেঙ্গুতে গাছাড়া ভাব দেখানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

|

আখলাকুস সাফা:

শহরে মশা নিধন হয়নি, ডেঙ্গু ছড়িয়েছে গ্রামেও। থেমে থেমে চলা বৃষ্টি থামছেই না। জমা পানিতে ডিম পাড়ছে এডিস, লার্ভা থেকে তৈরি হচ্ছে মশা। নিয়ন্ত্রণে আসা দূরের কথা, বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এদিকে, গড় তাপমাত্রা ঘুরপাক খাচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। এতে বাড়ছে এডিস মশার কার্যক্ষমতা।

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. আবু ফয়েজ মো. আসলাম  বলেন, তাপমাত্রা বাড়লে যেকোনো এনিমেলের মেটাবলিজমও বাড়ে। মেটাবলিজম বাড়লে আগে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরুতে যে সময় লাগতো, এখন তার চেয়ে কম সময় লাগবে। লার্ভা অ্যাডাপ্ট হতে যে সময় লাগতো, এখন তার চেয়ে কম সময় লাগবে। কথার কথা– একশ’টা মশা জন্ম নিতে যদি দশ দিন সময় লাগতো, এখন হয়তো তার চেয়ে আরও কম সময় লাগবে লাইফ সাইকেলটা কমপ্লিট হতে।

বৃষ্টির সাথে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। বাতাসের আর্দ্রতাও বেশি। এই আর্দ্রতায় মশার ভেতর ভাইরাসের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ একটি মশা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় বহন করে ডেঙ্গু ভাইরাস। ড. আবু ফয়েজ মো. আসলাম বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের ট্রান্সমিশন রেটও বেড়ে যায়, যদি আবহাওয়া বেশি আর্দ্র থাকে। মশার ভেতরে যে ভাইরাসের রেপ্লিকেশনগুলো থাকে, সেটিও আর্দ্র আবহাওয়ায় বেশি হয়। গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্বাভাবিক আবহাওয়ায় অক্টোবরের মধ্যেই কমে আসে ডেঙ্গুর প্রকোপ। পরিবর্তিত জলবায়ু আর এডিসের রুপ বদলের কারণে এবছর তাই আর আপনা আপনি কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। ড. আবু ফয়েজ মো. আসলামও বলছেন, গাছাড়া ভাব দেখানোর মতো সময় হয়নি এখনও।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, থেমে থেমে বৃষ্টি চলবে নভেম্বরেও। এদিকে, ঢাকার দুই সিটিতে জরিপ করে ৬৫৭ বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৮০ শতাংশ লার্ভাই পাওয়া গেছে বাসা-বাড়ির বাইরে জমে থাকা পানিতে। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এখনও গুরুত্ব দিয়ে মশা নিধন করলে বাঁচানো যাবে বহু প্রাণ।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply