রাজধানীতে বৃষ্টি, সাগরে ‘মিধিলি’, বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

মাহমুদুল হাসান ইমন:

বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূলের ৩৩০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে সকাল থেকে রাজধানীতে দমকা বাতাসের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি চলমান আছে। একইসাথে উপকূলের বিভিন্ন স্থানেও চলছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া।

আবহাওয়া অফিসের বরাতে জানা গেছে, এটি আজ দুপুরের পরপরই অথবা সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে। তবে এর তীব্রতা খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এটি অল্পসময়ের মধ্যে লঘুচাপ, লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

আবহাওয়া অধিদফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বরিশালে অভ্যন্তরীন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

আরও পড়ুন: টেকনাফে দেয়াল চাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু 

উল্লেখ্য, মিধিলি নামটি মালদ্বীপের দেয়া। সিরিয়াল অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ এসব ঝড়ের নাম ঠিক করে থাকে। এর পরবর্তী ঝড়গুলোর নামও আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। ২০২০ সালেই আইএমডি মোট ১৬৯টি ঝড়ের নামের একটি তালিকা করে রেখেছে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর হয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এটার নাম দিয়েছিল ইরান। সিরিয়াল অনুযায়ী আজ যে ঘূর্ণিঝড় আসার কথা রয়েছে তার নাম দিয়েছে মালদ্বীপ। তার পরের নাম ঠিক করে রেখেছে মায়ানমার, যার নাম ‘মিগজাউম’। মায়ানমারের পরে ফের পালা ওমানের, যারা আগের ঝড়ের নাম দিয়েছিল ‘ইয়াস’। তাদের দেয়া পরের ঝড়ের নাম ‘রে-মাল’। এভাবেই পরপর সিরিয়ালে আছে পাকিস্তানের ‘আসনা’, কাতারের ‘ডানা’, সৌদি আরবের ‘ফেইনজাল’, শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’, থাইল্যান্ডের ‘মন্থা’, সংযুক্ত আরবের ‘সেন-ইয়ার’, ইয়েমেনের ‘দিতওয়া’।

/এমএইচ