আহমেদ রেজা:
বিশ্বজুড়েই বাড়ছে প্রযুক্তির নিত্যনতুন ব্যবহার। প্রযুক্তি সহায়তা গতিশীল করছে দৈনন্দিন নানা কাজ। জলবায়ুর নিয়মিত পরিবর্তনে ঝড়-বন্যা-দাবদাহ আর খরার কবলে অনেক দেশ। প্রতিঘাত মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ আর সচেতনতার নেই বিকল্প। তবে বন উজাড় পর্যবেক্ষণ এবং কার্বন মনিটরিংয়ে বিশ্বজুড়েই প্রযুক্তি সহায়তা বাড়ানো দরকার, এমনটাই অভিমত জলবায়ু সম্মেলনে আসা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধির।
একজন প্রতিনিধি বলেন, প্রত্যেক কপেই বিশ্বনেতারা মেটিগেশন ও অ্যাডাপশন নিয়ে কথা বলে। কিন্তু পুরো বিশ্ব যাচ্ছে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। ফলে স্টোরিটেলিং আইডিয়া প্রযুক্তি সহায়ক হওয়া দরকার। আরেক জন বলেন, বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে জলবায়ু প্রশমনে আমরা কাজ করি। আমার মনে হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহায়তা বাস্তবায়ন করা গেলে সঙ্কট মোকাবেলা সহজ হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে ক্লাইমেট ও গ্রীন টেকনোলজির সমন্বয় করার পরামর্শ দিলেন কেউ কেউ। জলবায়ু সম্মেলনে তাদের দাবি, প্রযুক্তি খাতেও বাড়ানো হোক বরাদ্দ। টেকনোলজি ট্রান্সফার খাতকে সমৃদ্ধ করা গেলে দুর্যোগ প্রশমন ও অভিযোজন ঝুঁকি মোকাবেলা সহজ হবে বলে মনে করেন তারা।
কপ-২৮ সম্মেলনে আসা একজন প্রতিনিধির বক্তব্য, আমি ক্লাইমেট টেক সম্পর্কিত একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। তথ্য ব্যবস্থাপনায় বিষয়টি কত গুরুত্বপূর্ণ, তা জানি। ক্লাইমেট, টেকনোলজি, গ্রীন টেক, এআইসহ এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী আমরা। এবারের সম্মেলনে সেরকম সহযোগী খোঁজাও লক্ষ্য আমাদের।
আরেকজনের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে প্রযুক্তি, পরিবেশ, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও জীবনমানের গুণগত সমন্বয় সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমার মনে হয়, এখনই সময় জলবায়ু প্রযুক্তি নিয়ে কার্যক্রম হাতে নেয়ার।
/এএম
Leave a reply