যে আফসোস রয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর

|

পাকিস্তানি আইনে জুডিশিয়াল সার্ভিসে পরীক্ষাই দিতে পারতো না নারীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর এই আইন পরিবর্তন করে দেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, আওয়ামী লীগ পরে ক্ষমতায় আসার সময়েও উচ্চ আদালতে কোনো নারী বিচারক ছিল না। তখন জজ নিয়োগে নারীর নাম থাকার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এও বলেছিলেন, তালিকায় নারীর নাম না থাকলে তাতে সই করবেন না।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও পদক প্রদানের অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন নাজমুন আরার নাম। বলেন, তিনি বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি। তাকেই প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতি করতে চেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন।

এরপরে আফসোস ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে নাজমুন আরা-ই আমার মাথায় ছিলেন। কিন্তু আমাদের সমাজ এতো বেশি রক্ষণশীল যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রীতিনীতি ভাঙতে সময় লাগে। সেজন্য আমি এটা আর করতে পারিনি। এ আফসোসটা আমার থেকে গেল।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন খুবই জরুরি। অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নারীদের পারিবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আওয়ামী লীগ সরকার নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় ২০২০ সালে আইন প্রণয়ন করেছে। নারীদের অধিকার রক্ষায় জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে নারী জাগরণে অবদান রাখায় পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply