বাংলায় যত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ

|

একটি শিবিরে ক্ষুধার্ত শিশুদের লাইন। যেখানে তাদেরকে দেয়া হচ্ছে স্বল্প রেশন। এই ছবি চুয়াত্তরের ২৫ সেপ্টেম্বর তোলা। ছবি: গেটি ইমেজেস।

মিশুক নজিব

‘মহামারি, দুর্ভিক্ষ, রাষ্ট্রবিপ্লব, যুদ্ধ, দুঃশাসন সবই তো ভিটেমাটি ছেড়ে পালাবার কারণ। … জলদস্যুর হামলায়, ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে, কম্পানির দুঃশাসনে, দুর্ভিক্ষে, দাঙ্গায়, দেশভাগে, যুদ্ধে খালিই তো ঠাঁই বদলের ঠিকানা।’

ঔপন্যাসিক শওকত আলী তার জনপ্রিয় উপন্যাস দলিল-এ এসব কথা লেখেন। তার লেখায় উঠে আসে মানুষের ঠাঁই বদলের কথা। ঠিকানা বদলের যে যাতনা তা স্থান পেয়েছে এই উপন্যাসে। যেসব কারণে মানুষ ঠিকানা বদলাতে বাধ্য হয়, এরমধ্যে দুর্ভিক্ষ একটি কারণ বলে লেখক উল্লেখ করেন।

দুর্ভিক্ষে কেবল কি ঠাঁই বদল হয়? না। বিশ্বে একসাথে অসংখ্য মানুষ মারা যাবার সবচেয়ে বড় তিনটি কারণ হলো মহামারি, যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ। এই দুর্ভিক্ষ যতবার পৃথিবীতে এসেছে, কেড়ে নিয়েছে লক্ষ-কোটি মানুষের প্রাণ। কখনো এই দুর্ভিক্ষ এসেছে যুদ্ধের পর, আবার কখনো এসেছে মহামারির পর। কোথাও আবার শাসনব্যবস্থাই দুর্ভিক্ষকে ডেকে এনেছে।

এই দুর্ভিক্ষ শব্দটি দেশের রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে কদিন ধরে। খোদ প্রধানমন্ত্রী দেশে দুর্ভিক্ষের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। ভোটের পরে বিএনপি দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপিও এর জবাব দিয়েছে। তারা বলছে, বর্তমান সরকারের অপশাসনে দেশে এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে হাহাকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা। সরকার আগাম বার্তা দিয়ে ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর চেষ্টা করছে।

কেবল এখন না, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেন গত বছর। বাংলাদেশে যেন এই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। তবে, এবার সময় বেঁধে দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন।

নতুন বছরেই স্পষ্ট হবে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে কি না। এই বাংলা এর আগেও বেশ কটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখেছে। বিংশ শতকেই তো দুইটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয় এই অঞ্চল। তবে একবিংশ শতাব্দীতে এমন কঠিন পরিস্থিতে পড়তে হয়নি দেশের মানুষকে। এ পর্যন্ত বাংলায় যত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছে সেগুলোর গল্প জেনে নেয়া যাক:

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর:

বাংলায় ইংরেজদের শাসন শুরু হয়েছে সবেমাত্র। ১৯০ বছরের শাসনামলের মাত্র ১ যুগ পেরিয়েছে। ইংরেজি সাল ১৭৭০, বাংলা পঞ্জিকায় ১১৭৬। সে সময় বাংলার বুকে নেমে আসে ভয়াবহ এক দুর্ভিক্ষ। যার নাম ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’। বাংলা সাল অনুযায়ী এই নামকরণ। তাতে মারা যায় প্রায় এক কোটি মানুষ।

দুই বাংলার জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগ মানুষ শুধু খেতে না পেয়ে মারা যায়। খাবারের অভাবে কীটপতঙ্গের মতো মরতে থাকে মানুষ। পথে-ঘাটে শুধু লাশের দেখা মেলে তখন। এমন দূর্বিষহ চিত্র এই অঞ্চলের মানুষ এর আগে কখনো দেখেনি।

শিল্পীর চোখে এই দুর্ভিক্ষের ছবি।

এই দুর্ভিক্ষের কারণ ব্রিটিশদের রাজস্ব নীতি। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সাধারণ কৃষক প্রজার খাজনা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে। যে খাজনানীতি বাংলাকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেয়। এর মধ্যে ১৭৬৯ সালে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। অতিরিক্ত খাজনা আর ভারী বন্যায় কৃষকের গোলা ফাঁকা হয়ে যায়। শুরু হয় দুর্ভিক্ষ।

এমন অবস্থায়ও ইংরেজরা খাজনা তোলা বন্ধ করেনি। উল্টো পরের বছর খাজনা আরও ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়। তাতে কৃষকদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি তুলে দিতে হতো ব্রিটিশ বেনিয়াদের কাছে।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, ১১৭৪ সনে আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ছিল প্রায় দেড় কোটি ৫২ লাখ রুপি। আর তিন বছরের মাথায় ১১৭৭ সালে আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ এর চেয়ে ৫ লাখ ২২ হাজার রুপি বেশি ছিল। অথচ তখন মানুষ না খেতে পেরে মারা যাচ্ছিল।

তেতাল্লিশের মনান্তর:

উপমহাদেশ থেকে ইংরেজদের বিদায়ের বাকি তখন মাত্র চার বছর। সে সময়ের বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায় সরদার ফজলুল করিমের আমি সরদার বলছি বইয়ে।

সরদার ফজলুল করিম লেখেন, ‘১৯৪৩ সালটি মনে রাখা দরকার। ১৯৪৩ মানেই হচ্ছে বাংলা ১৩৫০। ১৩৫০ সালে হয়েছিল সেই নিদারুণ দুর্ভিক্ষ, যার নাম ৪৩-এর মন্বন্তর। এই দুর্ভিক্ষটা আমাদের প্রভাবিত করে। এতে যত না কংগ্রেস কর্মী, ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মী, আরএসপিআই এরা বেরিয়ে আসে, তারচেয়ে বেশি বের হয়ে আসে কমিউনিস্ট কর্মী। যেমন পি সি যোশী, একজন দক্ষ কমিউনিস্ট নেতা। তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপরে বই লিখেছিলেন, ‘‘হু লিভস ইফ বেঙ্গল ডাইস’’?

আমি তখন সক্রেটিস, প্লেটো, হেগেল— এ সমস্ত নিয়ে পড়াশোনা করছি। একদিন আমার কমরেড এসে বলছে, ‘‘তুমি কী এত লেখাপড়া করো? হেগেল তোমাকে কোথায় নিয়ে যাবে? তোমার মা-বোনেরা যেখানে মারা যাচ্ছে, সেখানে তুমি হেগেল পড়ে কী করবে?’’ আমি নিজেও নিজেকে প্রশ্ন করেছি, এই পাঠ দিয়ে আমি কোথায় যাব? আমাকে ওরা বলছে, ‘‘তুমি নয়াবাজারে লঙ্গরখানায় গিয়ে ডিউটি দাও। সেখানে দেখ, মা-বোনেরা হাজির হয়েছেন। তাদের তুমি খাবার বিতরণ করে দাও। তুমি সেখানে থাকলে অন্যায়-অত্যাচার কম হবে। ঐ দেখ একটা মেয়েকে ধরে পিটাচ্ছে।’’ সুতরাং আমি আমার হেগেলের কাছে থাকতে পারলাম না। পরদিন আমাকে যেতে হলো নয়াবাজারে সিরাজউদ্দৌলা পার্কে। ৪৩-এর দুর্ভিক্ষের সময় আমি বন্ধুদের সঙ্গে গ্রামেও গিয়েছি রিলিফের কাজে।

কমিউনিস্টরা লঙ্গরখানা খোলে এবং আরও বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় দুর্ভিক্ষ দূর করার জন্যে। দুর্ভিক্ষে ভূমিকা রাখার কারণে কমিউনিস্ট পার্টি ভারতের প্রধান তিনটি পার্টির একটিতে পরিণত হয়।’

আবর্জনা থেকে কুড়িয়ে খাচ্ছে মানুষ। আঁকা: জয়নুল আবেদিন

এই দুর্ভিক্ষ মূলত হয় ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় আর পূর্ব ভারতে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। ব্রিটিশ সরকার তখন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে এতই ব্যস্ত যে এই অঞ্চলে না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছে মানুষ, তাতে তাদের কিছুই আসে-যায় না। ভারতে চাল আমদানি হতো বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) থেকে। ওই সময় জাপান বার্মা দখল করে নিলে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগও তখন গ্রাস করেছিল এই অঞ্চলকে। ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ সে সময় না খেতে পেয়ে মারা যায়।

কাক-শকুন ঠুকরে খাচ্ছে পচাগলা মৃতদেহ। আঁকা: জয়নুল আবেদিন

তেতাল্লিশের এই মন্বন্তর প্রত্যক্ষ করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ভয়াবহ এই দুর্ভিক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি প্রমাণ করেন, দুর্ভিক্ষ শুধু খাদ্যের অভাব থেকেই হয় না, বরং খাদ্য বণ্টনে বৈষম্য ও অসমতা থেকেও হয়। ওই সময় যথেষ্ট খাদ্য সরবরাহ হয়েছিল। কিন্তু শহরের অর্থনীতি চাঙ্গা হলেও সঠিকভাবে বণ্টন না হওয়ায় গ্রামের দরিদ্র লোকদের খাবার কেনার সামর্থ্য ছিল না। ফলে চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং লাখ লাখ লোক মারা যায়।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাতের ফ্যান চেয়ে নিয়ে খিদে মেটায় মানুষ। আঁকা: জয়নুল আবেদিন

সেই সময়ের হাহাকারের চিত্র উঠে আসে দেশের ‘আধুনিক চিত্রকলার জনক’ জয়নুল আবেদিনের আঁকা ছবিতে। ফুটপাতে পড়ে থাকা হাড়সর্বস্ব, রোগজর্জর, অনাহারী মানুষের ছবি এঁকেছেন তিনি। নাওয়া-খাওয়া ভুলে রঙ-তুলি আর কাগজ নিয়ে জয়নুল তখন কলকাতায় চষে বেড়িয়েছেন। তার নিজেরও তখন প্রচণ্ড অর্থাভাব। ছবি আঁকার সরঞ্জাম কেনার সঙ্গতি নেই। তবে কোনোকিছুতেই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ:

বছর দুয়েক আগেই নতুন মানিচত্র পায় বাংলাদেশ। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি তখনও কাটিয়ে ওঠেনি। এরমধ্যে ১৯৭৩ সালে অনাবৃষ্টিতে আউশ ও আমন ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়। পরের বছর এলো বন্যা। তাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দেশে দেখা দেয় খাদ্যাভাব। এবার বছর ঘুরতেই স্বাধীন বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় প্রথম দুর্ভিক্ষের।

সরকারি হিসেবে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে খাবারের অভাবে মারা যায় ২৭ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসেব বলছে, এই সংখ্যা ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ। তবে, এ সংখ্যা নিয়েও দ্বিমত আছে গবেষকদের। তারা বলছেন, এই দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখের মতো মানুষের প্রাণ গেছে। আর তা কেবল খাবারের অভাবে!

দুর্ভিক্ষের শিকার নারী ও শিশুদের এই ছবি তোলা হয় কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায়। ছবি: গেটি ইমেজেস।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই দুর্ভিক্ষ? কেবল কি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায়? গবেষকেরা বলছেন, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ কেবল খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি নয়। রয়েছে আরও বড় কয়েকটি কারণ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এবং মজুতদার ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের প্রবণতা।

একদিকে খাদ্য উৎপাদন কম, অপরদিকে মজুত, তাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল বাজার। আর পণ্যের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে। এমনকি নুনের দাম পর্যন্ত এত বেড়ে গিয়েছিল যে, প্রথম দিকে লবণ ছাড়া রান্না করা খাবার খেতো মানুষ। পরে লবণ ছাড়া খাবারও জোটা বন্ধ হয়ে যায়। তাদের খাবার পাওয়ার একমাত্র জায়গা ছিল বিভিন্ন লঙ্গর খানা।

সেই সময় সরকারি কর্মকর্তারাও অসৎ উপায়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে থাকে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কোনো। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্বিগুণ উৎসাহে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।

ত্রাণ বিতরণ করে সরকার তাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানেও বাধ সাধে দলীয় নেতাকর্মীরা। লুট হতে থাকে সরকারি ত্রাণ। তাতে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছায়।

ঢাকার এক লঙ্গর খানায় খাবারের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে শিশু ও নারীরা। চুয়াত্তরের নভেম্বরে এই ছবি তোলা হয়। ছবি: গেটি ইমেজেস।

সেই সংকট আরও ঘনীভূত হয়, কিউবার কাছে বাংলাদেশের পাট বিক্রির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। ঢাকায় সাহায্য বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন। এমনকি খাদ্য নিয়ে দেশটির যে জাহাজ বাংলাদেশের পথে ছিল, তাও ফিরিয়ে নেয়।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব (পরবর্তীতে গভর্নর) ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীনের মতে, এই দুর্ভিক্ষ ব্যাপকহারে রূপ নেয়ার প্রধান কারণ ছিল এটি।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বৃদ্ধিকেও এ দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের মতোই এই দুর্ভিক্ষ চলে ৯ মাস। ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হওয়া হাহাকার কেটে যেতে শুরু করে ডিসেম্বর নাগাদ। উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়।

এবং অন্যান্য:

এই অঞ্চলে বড় তিন দুর্ভিক্ষের দুইটি-ই ঘটে ইংরেজ আমলে। তাদের শাসনামলে আরও অনেকগুলো দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তার মধ্যে ১৭৭০, ১৭৮৩, ১৮৬৬, ১৮৭৩, ১৮৯২, ১৮৯৭ ও ১৯৪৩ অন্যতম। এগুলোর মধ্যে ছিয়াত্তর ও তেতাল্লিশের পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।

এছাড়া, খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৩ শতকের দিকে বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন দুর্ভিক্ষের খবর পাওয়া যায়। মহাস্থানগড়ের শিলালিপিতেও এর প্রমাণ রয়েছে। তবে সে সময় কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, এর স্পষ্ট তথ্য নেই। এরপরের দুই হাজার বছরে এই অঞ্চলে বড় কোনো দুর্ভিক্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply