অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দিবস পরিবর্তনের পক্ষে কামিন্স

|

ছবি: সংগৃহীত

এবার অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দিবস পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন দেশটির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ‘অস্ট্রেলিয়া ডে’ পালিত হলেও, এই বিশেষ দিনটি ঘিরে রয়েছে বিতর্ক। ১৭৮৮ সালে সিডনিতে ব্রিটিশদের পা রাখার এই দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে স্মরণ করে দেশটির আদিবাসি জাতি গোষ্ঠী।

১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি কোভে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করেই প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি পালিত হয় অস্ট্রেলিয়া ডে। সরকারি ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ানরা দিনটিকে উদযাপন করতে মেতে ওঠেন উৎসবে।

অন্যদিকে দেশটির আদিবাসীরা দিনটিকে তাদের ভূমিতে নৃশংস উপনিবেশের সূচনা এবং তাদের সার্বভৌমত্ব, পরিবার ও সংস্কৃতি হারানোর প্রতীকী স্মৃতি হিসেবে দেখে থাকে। তাদের নারীদের উপর নির্যাতন এবং শিশুদের ছিনিয়ে নেয়ার নৃশংসতার দিন হিসেবে বিবেচনা করে দেশটির প্রথম জাতি গোষ্ঠী।

অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলমান টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি। গ্যাবা টেস্টের দ্বিতীয় দিন পালিত হবে অস্ট্রেলিয়া ডে। আর একারণেই সরকারী ছুটির দিনে এই টেস্টকে ব্র্যান্ডিং করছেনা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, যেটা পছন্দ হয়নি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের। এবার অস্ট্রেলিয়া ডে পরিবর্তনের পক্ষেই মত দিয়েছেন কামিন্স।

অজি অধিনায়ক বলেন, আমাদের অবশ্যই একটি অস্ট্রেলিয়া দিবস থাকা উচিত, তবে আমরা এটি উদযাপনের জন্য আরও উপযুক্ত কোনো দিন খুঁজে নিতে পারি। আপনি যখন ২৬ জানুয়ারি সম্পর্কে জানবেন এবং কেন এটি বেছে নেয়া হয়েছে তা ভাবতে শুরু করবেন, তখন বুঝবেন অস্ট্রেলিয়া দিবস মানে হল অস্ট্রেলিয়ার অর্থাৎ আমাদের ইতিহাসের সবকিছুর উদযাপন। তাই আমরা একটি ভালো তারিখ নির্ধারণ করতে পারি।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বরাবরই এই বিশেষ দিনটি নিয়ে থেকেছে নিরপেক্ষ অবস্থানে। এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার বেশকিছু ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট কমিউনিটি অস্ট্রেলিয়া ডে উদযাপনের বিপক্ষে ছিলেন। তবে সম্প্রতি সিডনি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ডের অবস্থান পরিস্কার করেছেন সিএ এর প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।

তিনি বলেন, আমরা ‘অস্ট্রেলিয়া ডে’ বয়কট করছিনা। গত চার পাঁচ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে আমরা একই অবস্থানে আছি। আমরা আমাদের খেলোয়াড় ও কমিটির সাথে কথা বলেছি। আমরা চাই সবাই একসাথে অস্ট্রেলিয়া দিবস পালন করুক। কিন্তু আমাদের মধ্যে কারো কারো জন্য এই দিনটি উদযাপনের নয়। তাই আমরা যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে চাই।

অস্ট্রেলিয়া ডে’র তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরো গতি পেয়েছে। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ইনস্টিটিউটের একটি জরিপে দেখা যায় ৪৯ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন জাতীয় ছুটির দিন এমন তারিখে হওয়া উচিত যাতে এটি আদিবাসী নাগরিকদের কাছে আপত্তিকর না হয়।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply