স্বস্তি নেই ছুটির দিনের বাজারে, অভিযানেও লাগাম ধরা যায়নি চালের দরের

|

স্বস্তি নেই রাজধানীর বাজারে। অভিযান চলমান থাকলেও, লাগাম ধরা যায়নি চালের দরে। ভরা মৌসুমেও সবজির মোকামে বেশ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ক্রেতার বলছেন, অনেকটা বাড়তি দরেই কিনতে হচ্ছে। নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে স্থানীয় জাতের পেঁয়াজের দাম। তবে আলুর দাম সামান্য কমেছে। গরুর মাংসের কেজি দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাতশ’ টাকা।

ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম কমবে, এমন প্রত্যশায় ছিলেন ক্রেতারা। বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু দাম কমেনি। বরং মৌসুমের যেকোনো সময়ের তুলনায়, এখনই যেন দাম বেশি। বেশকিছু সবজির দাম ১০০ টাকা কেজির আশেপাশে। প্রতি কেজি বেগুন, করলা, লাউ, শসার জন্য গুণতে হবে ১০০ টাকা। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কপি, সিম, টমেটো। চড়ামূল্যে সবজি কিনতে গিয়ে নাকাল হচ্ছেন ক্রেতারা।

সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম সামান্য কমলেও, আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।

অস্বস্তি কমছে না চালের বাজারে। উৎপাদন, পাইকারি এবং খুচরা সব স্তরেই দাম বৃদ্ধির উত্তাপ। দশ দিনের ব্যবধানে মিনিকেট ছাড়া প্রায় সব ধরণের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিলগেট থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সব পর্যায়ে জোর তদারকির দাবি তাদের।


চড়া দামে অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। তবে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাংসের বাজার। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচেছ ৭০০-৭৫০ টাকায়। বেড়েছে খাসীর মাংসের দামও। এক কেজির জন্য গুণতে হবে ১১০০ টাকা।

দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২১০ ও ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply