আইএসপি গাইডলাইনে সংস্কার: লাইসেন্স আপগ্রেড সুযোগ না রাখায় হতাশ ব্যবসায়ীরা

|

মাসুদুজ্জামান রবিন:

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্সের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এরই মধ্যে সংস্থাটির কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। তবে গাইডলাইনে লাইসেন্স আপগ্রেড করার সুযোগ না রাখায় হতাশ এ খাতের বিনিয়োগকারীরা।

মূলত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে তৃণমূলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার বিস্তৃতি ঘটাতে এ সংস্কারে লক্ষ্য।

বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, বর্তমানে যে গাইডলাইন আছে, সেটির কয়েকটি ধারা পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তন করার প্রস্তাব আমাদের কমিশন থেকে অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এটি প্রক্রিয়াধীন আছে, সেখানে অনুমোদন পেলে নবায়নের যে জটিলতা আছে তা কেটে যাবে।

সংস্কারের অংশ হিসেবে আইএসপি লাইসেন্স প্রদান সাময়িক বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করছে বিটিআরসি। নির্দিষ্ট এলাকায় লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত আবেদন না পাওয়া এবং আবেদন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। জটিলতা নিরসনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় সংস্থাটি।

শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, যারা আইএসপি লাইসেন্স চায়, তারা সফটওয়্যারের মাধ্যমে নথিভুক্ত হতে পারবে। কোনো জায়গায় যদি একজন প্রোভাইডার দরকার হয়, তাহলে ৫টি আবেদন জমা পড়তে হবে। সেগুলো থেকে বাছাই করে লাইসেন্স দেয়া হবে, এগুলো অটোমেটেড প্রক্রিয়ায় হবে।

লাইসেন্সিং গাইডলাইনের সংস্কারকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। তবে, গাইডলাইনে লাইসেন্স আপডেট করার সুযোগ না রাখায় হতাশ এ খাতের বিনিয়োগকারীরা।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, নতুন গাইডলাইনে আপগ্রেডের ইস্যুটা আনা হয়নি। এটা যদি আনা না হয়, তাহলে কী হবে? আমাদের ছোট উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ দেখতে না পেলে একটা সময়ের পর গুটিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ১ মার্চ থেকে নতুন করে আইএসপি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন গ্রহণ সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসির কমিশন সভা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply