১১ বছর বয়সী সাংবাদিক যেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রতীক

|

ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো সময় গায়ে এসে পড়তে পারে ইসরায়েলিদের ছোড়া ড্রোন। গোলাবর্ষণে হারাতে হতে পারে প্রাণ। কিন্তু তাতে থোরাই কেয়ার করে ক্ষুদে এই সাংবাদিক। গোলা আর মিসাইলের শব্দে মায়ের কোলে মুখ না লুকিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করছেন সাংবাদিকতা।

সিসিটিভি প্লাস জানায়, বুকে ‘প্রেস’ লেখা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, আর মাথায় প্রেসের হ্যাট নিয়ে প্রস্তুত ১১ বছর বয়সী সুমাইয়া ওয়াইশাহ। মাঠে মাঠে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত। বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মমতার চিত্র।

ফিলিস্তিনি এই খুদে সাংবাদিক বলেন, সাংবাদিকতা আমার সবসময়ই ভালো লাগতো। আগে বাড়িতে আয়নার সামনে সাংবাদিকদের মতো করে কথা বলার অনুশীলন করতাম। এখন আমি সত্যিকারের সাংবাদিক।

বাবাকে দেখেই সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ সুমাইয়ার। একে তো পছন্দের পেশা, তার ওপর গাজাবাসীর প্রতি কিছু করার আগ্রহ। দুইয়ে মিলে যখন এক হয়েছে, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতাই ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি সুমাইয়াকে।

তিনি বলেন, একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিসেবে আমাকে প্রতিনিয়ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চারিদিকে ড্রোন আর গোলাবর্ষণ। মাঝে মাঝে প্রচণ্ড ভয় আর উদ্বেগ কাজ করে। কিন্তু সবকিছুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলি। কারণ, সেটাই আমার দায়িত্ব।

ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজার লাখ লাখ মানুষের মতো বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে ওয়াইশার পরিবারকেও। ঘরে নেই খাবার, জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে এক শরণার্থী শিবির থেকে আরেকটিতে। সেই ক্রোধই যেন আরও সাহসী করে তুলেছে ছোট্ট এই শিশুটিকে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গেলো পাঁচ মাসে ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে ১৩০ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply