রেস্টুরেন্টগুলোতে নেই নিয়ম-নীতির বালাই, ফায়ার এক্সিট নিয়ে উদাসীন অনেক মালিক

|

রাজধানী চিত্তবিনোদনের স্থান সংকুলানে ভুগছে নাকি সময়ের সাথে মানুষের চাহিদা কিংবা পছন্দ পাল্টেছে সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ সময় কাটানোর জন্য পার্ক, খোলা মাঠ কিংবা পর্যটন স্পটের চেয়েও পছন্দে সবার আগে এখন রেস্টুরেন্ট। সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলগালা করা হয় বহু রেস্টুরেন্ট।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে গল্পে মোড় নেয় আগের প্রেক্ষাপট। আবারও লাল-নীল বাতির ঝলকানিতে সেজে ওঠে রেস্টুরেন্টগুলো। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা অগ্নিকাণ্ড সতর্কতায় আগের মতোই উদাসীন কিছু রেস্টুরেন্টের দায়িত্বে থাকা লোকজন।

রাজধানীর ধানমন্ডি, পল্লবী, মিরপুরসহ শহরের বেশিভাগ জায়গায় অল্প পরিসরের ভেতর গড়ে ওঠা এসব রেস্টুরেন্টে ভাবা হয়না নিরাপত্তা কিংবা ইমারজেন্সি ফায়ার এক্সটিংগুইশার নিয়ে। সেখানে দায়িত্বে থাকা অনেকেই জানে না ফায়ার বল সম্পর্কে। এতো এতো অনিয়মের মধ্যেই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ আগের মতোই খাবার খেতে আসে সেসব জায়গায়। সঠিক তদারকি না থাকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও। রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবার খেতে আসা সাধারণ মানুষও জানান তাদের শঙ্কার কথা। যেকোনো মূহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত মূহুর্তের ভয় কাজ করে তাদের মনে।

এদিকে ভবন কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের পক্ষ থেকে রেস্টুরেন্ট মালিকদের বরাবর একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তারপরও কেউ যদি সেসব নিয়ম না মানে তাহলে সেই দায় তাদের নয়। এ্যাপকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজার আব্দুস সালাম বলেন এমনই কথা । তাদের একটি বিল্ডিংয়ে রয়েছে ১০টি রেস্টুরেন্ট।

উল্লেখ্য, মিরপুরের পল্লবীতে আবসিক ভবনের অনুমতি নিয়ে একটি বিল্ডিংয়ে ২০টি রেস্টুরেন্ট খোলার নজিরও চোখে পড়েছে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরায়। জনসাধারণের একটাই প্রশ্ন এত অনিয়মের শেষ কোথায়। এর থেকে কবে নাগাদ পরিত্রাণ পাবে নগরবাসী।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply