অতি আত্মবিশ্বাস নাকি মানসিক জট, কী হয়েছে লিটনের?

|

ছবি: সংগৃহীত

লিটন দাসের ব্যাটিং দেখা চোখের আরাম, মনের শান্তি। ২২ গজের ক্যানভাসে ব্যাট যেন শিল্পীর তুলি। সেই লিটন হারিয়ে খুঁজছেন নিজেকে। ফর্ম হারিয়ে যেন দিক হারা এক পথিক। দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও টানা তিন ম্যাচে হাসেনি লিটনের ব্যাট।

সাগরিকায় এবার যেভাবে উইকেট দিয়ে আসলেন। তা রীতিমতো হাসির খোরাক। মুজারাবানির পরপর দুই বলে স্কুপ করার ব্যর্থ চেষ্টা। ভুল থেকে শিক্ষা না নিয়ে তৃতীয় বলেও করলেন সেই একই ভুল। স্কুপ শেখার চেষ্টায় বিলিয়ে দিয়ে আসলেন উইকেট। অতি আত্মবিশ্বাস নাকি মানসিক জট।

লিটন নিজেই বলেছিলেন, ক্রিকেটটা নাকি হতাশার খেলা। তবে কি সেই হতাশায় পেয়ে বসলো এলকেডিকে? সব ফরম্যাট মিলিয়ে ফিফটি বিহীন টানা ১১ ম্যাচ। চলতি বছর ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে দুর্বল স্ট্রাইকরেটে করেছেন মাত্র ৭২ রান। অথচ ২০২২ সালে ১৯ ইনিংসে ১৪০.২ স্ট্রাইক রেটে চার ফিফটিতে করেছিলেন ৫৪৪ রান।

তার সামর্থ্য ও স্টাইল নিয়ে সন্দেহ নেই কারও। তবে চিরচেনা লিটন থমকে গেছেন মেন্টাল গেইমে। সেই মানসিক শৃঙ্খল কাটিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে স্বরুপে দেখা দেবেন এলকেডি। এমনটাই বিশ্বাস বিসিবির কোচ ও পরিচালক থেকে সভাপতির।

গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, লিটনকে তো আমরা সবসময়ই প্রতিভাবান হিসেবে জানি। অনেকদিন ধরে সে ছন্দে নেই। জালাল ভাইয়ের (জালাল ইউনুস) সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের যিনি ব্যাটিং কোচ তাকে বলা হয়েছে লিটনের ওপর একটু বিশেষ নজর দিতে, সমস্যাটা কোথায় বের করতে। আশা করা ছাড়া তো কিছু বলার নেই।

এদিকে লিটনকে নিয়ে দলের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প বলেন, এটি ঠিক যে, লিটন রান পাচ্ছে না। তবে, সে কঠোর পরিশ্রম করছে। বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের জীবনে উত্থান-পতন আসবেই। লিটনের এখন সেই সময়টা যাচ্ছে। সে এখন অতটা ধারাবাহিকভাবে খেলছে না। তার পরিশ্রম থেমে নেই। আশা করি, শিগগিরই সে কাঙ্ক্ষিত ছন্দে ফিরবে।

বাজে ফর্মের কারণে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের মাঝপথ থেকে বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। এরপর ডিপিএল খেললেও নিজেকে ফেরাতে পারেননি। এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাকি আর দুই ম্যাচ। সুযোগ যদি আরো একবার আসে, মিরপুরের মাঠকে ক্যানভাস বানাতে পারবেন তো লিটন কুমার দাস?

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply