শেষ দিনে কী অবস্থা রাজধানীর গরুর হাটের?

|

আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। শেষ দিনে যেকোনো মূল্যে কিনতে হবে কোরবানির পশু। গরু বা ছাগল, ছোট বা মাঝারি। দাম নিয়ে শেষ হচ্ছে না যেন ক্রেতা-বিক্রেতার বচসা।

ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কেউ পেয়ে যাচ্ছেন ন্যায্য মূল্যেই। কেউ আবার বাজেট বাড়িয়ে কিনছেন পছন্দসই কোরবানির পশু। হাটে দীর্ঘক্ষণ থাকা একজন ক্রেতা বলেন, গতকাল রাত ৩টায় এসেছি হাটে। আজ সকাল ৯টার দিকে গরু কেনা হয়েছে। গাবতলী হাটে রিজনেবল প্রাইসে গরু পাওয়া যাচ্ছে। আরেক ক্রেতা গরু কেনার পর জানান, বাজেটের মধ্যে ছিল। তারা দাম নিয়ে সন্তুষ্ট।

চাহিদা অনুযায়ী রাজধানীর ২০ হাটে আগে থেকেই গরুর মজুদ ছিল পর্যাপ্ত। শেষ দিন আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও আসে কোরবানির পশু। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকায় দাম ধরে রেখেছেন ব্যাপারীরা।

গরু কিনতে আসা একজন বলেন, তারাও (বিক্রেতা) দেখছে। আমরাও দেখছি। একসময়ে তারা দাম একটু কমাবে, আমরাও একটু আগাব। আরেকজন ক্রেতা বলেন, গরু আছে অনেক। কিন্তু দাম কমাচ্ছে না তারা। সময়ও তো আর নেই।

পল্লবী এলাকার একটি হাট। ছবি: সংগৃহীত

উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে বড় আকারের গরুর ক্ষেত্রে। সামর্থ্যবান ক্রেতা কম, উপান্তর না দেখে অর্ধেক দামেই বিক্রি করছেন কেউ কেউ।

একজন ব্যাপারী বলেন, হাটের পরিস্থিতি দেখি, শেষে কী দাঁড়ায়। গ্রামে মাইকিং করে পোল্ট্রি মুরগি যেভাবে বিক্রি করে, আমাদের অবস্থাও তেমন হয়ে গেছে। আরেকজন গরুবিক্রেতা জানান, এখানে অনেক দূর থেকে মানুষ এসেছে গরু বিক্রির স্বপ্ন নিয়ে। অর্ধেক দামেও হয়তো বিক্রি করা লাগতে পারে।

সন্ধ্যা হতে হতেই ছোট ও মাঝারি গরুর দামও নেমে আসে ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখের মধ্যে। এক ব্যাপারীর ভাষ্য, অল্প লাভেই গরু ছেড়ে দিয়েছি। আরেক ক্রেতা গরুর দাম নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথাও জানালেন।

উল্লেখ্য, দেশে এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল এক কোটি ৭ লাখ। আজ শেষ দিনে দুপুরে ফাঁকা হতে দেখা গেছে কিছু পশুর হাট।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply