টানা বৃষ্টিতে আবারও বন্যার কবলে দেশের বিভিন্ন এলাকা

|

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দেশের কয়েক জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা পরস্থিতি। সিলেট, সুনামগঞ্জ নেত্রকোণাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিপৎসীমার ওপরে বইছে বন্যার পানি।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী, ঝিনাইগাতীর মহারশি ও শ্রীবরদী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ৩ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৪০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নিচু এলাকার পানি কমছে ধীর গতিতে।

নেত্রকোণার সবকটি নদীতে বেড়েছে পানি। জেলার উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকালের তুলনায় নদীর পানি কিছুটা কমলেও কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও নেত্রকোণা সদরের অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা সেতু পয়েন্টে পানি ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুরের নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে চর’সহ নিম্নাঞ্চল।

অপরদিকে, টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী ও কুহুয়া নদীর ৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। সেসব স্থান থেকে পানি ঢুকে ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তিতে বানভাসীরা। তলিয়েছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের। এরই মধ্যে বন্যার্তদের সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, সিলেটে এখনও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তবে, বৃষ্টি থামায় শহর থেকে পানি নামছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গেলো ১২ ঘণ্টায় সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনো তা বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে। ধলাই, সারি, গোয়াইনের মতো সীমান্ত নদীর পানি অনেকটাই কমেছে। জেলায় বন্যাদুর্গতের সংখ্যা ৭ লাখের বেশি।

সুনামগঞ্জে কমছে বন্যার পানি। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। চেরাপুঞ্জি থেকেও নামেনি পানির ঢল। তবে, এখনও জলমগ্ন নিম্নাঞ্চল।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply