ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি

নির্বাচনী প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে প্রাণ গেল একজনের । নিহত ব্যাক্তির নাম ইউসুফ আল মামুন। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। আওয়ামী লীগের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় বিএনপিকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে মামুনকে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি গ্রামে একটি চায়ের দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানে বসে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ আল মামুন। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত বিএনপির সমর্থক মজিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলে মামুন এর প্রতিবাদ করেন। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় উভয়ের মধ্যে। পরে দোকান থেকে লাঠি নিয়ে আঘাত করা হয় মামুনকে। মাথায় আঘাত পাওয়া অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা এই বিষয়ে বলেন, ‘এই হামলার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশকে বিএনপি অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। এই ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।’

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশতাকুজ্জামান নিহতের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামুন ও মজিদ একসাথে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিল। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়। এরই যের ধরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মামুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হলেও মজিদ বিএনপির কোন পদে আছে কিনা জানা নেই।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজি জমিরউদ্দিন জানান, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই মজিদ বিএনপির কোন পদ-পদবীতে নেই। আর তারা এক সাথেই চলাফেরা করতো। আমি এলাকায় ছিলাম না , তাই আসলে কী নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে তা বলতে পারবো না।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম নাছিম জানায়, চায়ের দোকানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুটক্তি করার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় মজিদ ও তার লোকজনের সাথে ইউসুফের বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। এতে মো. ইউসুফ আল মামুন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply