‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে’

|

যুদ্ধাপরাধী ও খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায়, ভোটের মাধ্যমে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন তিনি।

সারাদেশে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে যেভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, স্কুল পুড়িয়েছে, সরকারি অফিস পুড়িয়েছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, চালকদের পুড়িয়েছে। সরকার উৎখাতের জন্য এই ধরনের জঘন্য কাজ তারা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন বিশ্বে উন্নয়নের মডেল। যেখানে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল সেখানে আমরা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। কওমী মাদ্রাসা অবহেলিত ছিল। আজ আমরা কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছি; যাতে এদেশে যেন কেউ অবহেলিত না থাকে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ ছিল, আমরা তা নামিয়ে ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সুরা ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে দোয়া করেন সবাই।

সকালে গণভবন থেকে রওনা করে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ঘাট দিয়ে বৃহত্তর ফরিদপুরে যান প্রধানমন্ত্রী। এসময় সড়কের দু’পাশে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা তাকে শুভেচ্ছা জানান।

বৃহস্পতিবার সড়ক পথে ঢাকা ফেরার সময় ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply