মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ছোঁড়া ইরানি ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করা এবং এরপর তিন দিন ধরে সরকারের পক্ষ থেকে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে তেহরানের রাস্তায় গত তিন দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকা বিক্ষোভ দমনে ইতোমধ্যে শক্তি প্রয়োগ করেছে দেশটির পুলিশ।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, রোববার বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে সরাসরি গুলি চালানো হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ তেহরানের বাইরের শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার অন্তত ১২টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
চলমান বিক্ষোভে রক্ষণশীল এবং সরকার সমর্থকদের একাংশও অংশ নিচ্ছেন। ইরানের কট্টরপন্থী একাধিক পত্রিকা বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবি তুলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যমে।
এদিকে চাপের মুখে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রেভোলুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসাইন সালামি। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সেদিনের ঘটনার জন্য।
সালামি বলেন, ‘আমরা আমেরিকার বিরুদ্ধে অনেক বড় বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তা মলিন হয়ে গেছে। আমার মনে হচ্ছে আমিও যদি ওই বিমানে পুড়ে মরে যেতাম তাহলে ভালো হতো।’
Leave a reply