জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় এক বিষয়ে গণ ফেল, দায় নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ!

|

আশিক মাহমুদ:

শুধু ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে ফেল! এমন রেকর্ড হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৯ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বে, গণহারে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি খাতা।

নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আমান উল্লাহ। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন অনার্সে। কিন্তু ১০ বছরেও শেষ হয়নি তার শিক্ষা জীবন। চাকরিতে আবেদনের বয়সও শেষের দিকে। দু’চোখে এখন শুধুই অন্ধকার।

আমান উল্লাহ বলেন, ইচ্ছা করেই তারা আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তারা ইচ্ছা করেই পাঁচ বছরের শিক্ষা জীবন টেনে ১০ বছরে নিয়ে গেছে।

সর্বশেষ মাস্টার্সের রেজাল্টে ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে ফেল এসেছে আমান উল্লাহর। যদিও অন্য সব বিষয়ে খুব ভালো রেজাল্ট আছে তার।

আমান উল্লাহ বলেন, আমার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন হয়নি। আমি পুনরায় আমার খাতা মূল্যায়নের দাবি জানাচ্ছি।

এমন বিড়ম্বনায় তোলারাম কলেজের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান। বয়স ৩০ পেরুতে চললেও শেষ হয়নি ছাত্রত্ব। তিনিও ফেল করেছেন ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে।

এমন হাজারো শিক্ষার্থীর কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেন না কোথাও।

২ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। এতে অন্যান্য বিষয়ে গড় পাশের হার প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে মাত্র ২৮ শতাংশ পাস করেছে অর্থনীতি বিভাগে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ফেল করেছে ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে।

অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ে রেজাল্ট ভালো হলেও শুধু ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে ফেল। তাই হতবাক শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ফল বিপর্যয়ের দায় শুধুই শিক্ষার্থীদের। সেশনজটের দায় নিতেও নারাজ তারা।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, যারা ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল তাদের সবারই পড়াশুনা শেষ হয়েছে। কিন্তু যারা এখনো শেষ করতে পারেনি তারা নিশ্চয় আগে বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করে এসেছে। তা না হলে ১০ বছর লাগার কোনো কারণ নেই।

এরইমধ্যে খাতা পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করেছে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply