লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের অন্যতম সদস্য গ্রেফতার

|

লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য এনামুল হক গাজী।

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথা থানার এক মামলায় লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের সক্রিয় এক সদস্য এনামুল হক গাজী (৪২) কে গ্রেফতার করেছে সালথা থানা পুলিশ। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ জেলা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের গোয়ালা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফারকৃত এনামুল ওই ইউনিয়নের মুনিরকান্দী গ্রামের মো. হোসেন গাজীর ছেলে।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, সালথা থানার বল্লভদি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের কবির শেখের ছেলে কামরুল শেখ লিবিয়ার মিজদা শহরে মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহত হন বলে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কবির শেখ বাদী হয়ে সোমবার ৬ জনের বিরুদ্ধে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

তিনি জানান, মামলার পর মঙ্গলবার ভোর রাতে মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য আসামি এনামুলকে গোয়ালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে আসামি এনামুল হক মামলার অন্যান্য আসামিদের সাথে পরস্পর যোগসাজশে নিহত কামরুল শেখকে অবৈধ পথে লিবিয়া পাঠানোর জন্য বাদীর কাছ থেকে টাকা গ্রহণের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়াও আসামিগণ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকার যুবককে প্রলোভন দিয়ে লিবিয়া পাঠিয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, আমরা জানতে পারি যে, গত ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১১ জন বাংলাদেশি। নিহত ২৬ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি সালথা উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নে। সে যে মানবপাচারকারী বাহিনীর শিকার হয়ে লিবিয়ায় পাচার হয়েছিলো এই মর্মে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, এই ৬ জন আসামির মধ্যে অন্যতম এনামুল হক। তাকে মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোয়ালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আশা করছি অচিরেই অন্য আসামি যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply