১০ শতাংশ ট্যাক্স দিলেই মিলবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

|

দীর্ঘদিন ধরেই মুখ থুবড়ে পড়ে আছে পুঁজিবাজার। কোন উদ্যোগেই সচল করা যায়নি তলানীতে পড়ে থাকা লেনদেনের চাকা। সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এমন অবস্থায় কালো টাকার বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে, পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে গতি ফেরাতে চায় সরকার।

এই অবস্থায়, আস্থাহীনতা ও মূলধন সংকটে নেতিয়ে পড়া পুঁজিবাজারকে জাগিয়ে তুলতে চান অর্থমন্ত্রী। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বাজেট প্রস্তাবনায় পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছেন। এরফলে, ১০ শতাংশ কর দিয়ে তিন বছর রাখার শর্তে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ মিলবে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এতে তারল্য সংকট দূর হবে। এগিয়ে যাবে পুজিবাজার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে গভীরতা বাড়বে পুজিবাজারে। আবাসন ব্যবসায় পড়বে ইতবাচক প্রভাব। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমে বড় প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের দাবি, এতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সৎ করদাতারা।

ডিএসই’র সাবেক সবাপতি শাকিল রিজভী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য অঘোষিত অর্থকে মূলধারায় আনা খুবই দরকার ছিল। ১০ শতাংশ ট্যাক্স প্রদান করে পুজিবাজারে যে কোন পরিমাণ বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়ায় সরকারে প্রতি কৃতজ্ঞতা।

এদিকে, আবাসন খাতে গতি আনতে চায় সরকার। এ জন্যে বাজেট প্রস্তাবনায় কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার ঘোষণা এসেছে। বলা হচ্ছে, ১০ শতাংশ কর দিয়ে আবাসন খাতে বিনিয়োগ করলে আয়কর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। রিহ্যাব বলছে, এতে বিকশিত হবে স্থানীয় আবাসন ব্যবসা। আর বন্ধ হবে অর্থ পাচারের প্রবণতা।

রিহ্যাব’র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া বলেন, অতীতে দেখেছি যে বিদেশে একটা টাকা পাচার হওয়ার প্রবণতা থাকতো তা আর হবেনা। ফলে এটি দেশের অর্থনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখবে।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবকে অনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বলছেন, এতে নিরূৎসাহিত হবে সৎ করদাতারা।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখলে আমরা যেখানে সুশাসন ও স্বচ্ছতার কথা বলছি সেখানে একটি কালো স্পট তৈরি করে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি বলছে, দেশে পুঞ্জীভূত অপ্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ পাঁচ থেকে সাত লাখ কোটি টাকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply