পাট বেচা-কেনায় দুর্নীতি, ভুয়া চালানের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে বিল

|

পাট বেচা-কেনায় দুর্নীতিতে বেকায়দায় একাধিক পাট ব্যবসায়ী। ভুয়া চালানের মাধ্যমে অন্যের নামে তৈরি করা হয়েছে বিল, যা উত্তোলনে দেখা দিয়েছে জটিলতা। পাওনা নিয়ে নয়-ছয় করায় বরখাস্ত হয়েছেন এক কর্মকর্তাও।

বিজেএমসি চেয়ারম্যান বলছেন, দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। তবে, সার্বিক ফয়সালায় সময় প্রয়োজন।

ইউনাইটেড, মেঘনা এবং চাঁদপুর এই তিনটি পৃথক মিলের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ইউএমসি জুট মিল। বিজেএমসি’র অধীন এটি দেশের অন্যতম প্রধান পাটকল। কিন্তু নরসিংদীতে অবস্থিত এই পাটকলে সংঘটিত হয়েছে অনিয়ম। ভুয়া চালান তৈরী করে, অন্যের নামে বানানো হয়েছে বিল।

বিজেএমসি’র প্রতিষ্ঠানগুলার ওপর ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়-ব্যয় নিরীক্ষা করেছে বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর। ওই রিপোর্টে উঠে আসে অনিয়মের সার্বিক চিত্র। ((জিএফএক্স)) দেখাযায়, ইউএমসি জুট মিলে মোট ৮২০ বেল পাট সরবরাহ করে পাবনার কার্তিক চন্দ্র সাহা। যার বাজার মূল্য ৬০ লাখ টাকা। পাবনার ব্যবসায়ী পাট দিলেও গাইবান্ধার কামারপাড়া কেন্দ্রের নামে তৈরী করা হয়েছে ৪৭ লাখ টাকায় ভুয়া বিল চালান।

রাজবাড়ীর ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন মনো ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই অনিয়ম। ইউএমসি জুটমিলে ৫২ লাখ ৩২ হাজার টাকার ১ হাজার বেল পাট সরবরাহ করেছে এই ব্যবসায়ী। কিন্তু মাদারিপুরের চরমুগরিয়া পাট কেন্দ্রের নামে তৈরী করা হয়েছে ভুয়া বিল চালান।

অডিট রিপোর্ট-এ নারায়নগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ভুয়া বিল চালানের তথ্যও ধরা পরে। শহিদুল্লাহ সরকার নামের ওই ব্যবসায়ীর এক কোটি ২৫ লাখ টাকার ভুয়া চালান বিলের শিকার।  সব মিলিয়ে ভুয়া বিল চালানের পরিমাণ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অনিয়মে জড়িত থাকার জন্য ইউএমসি জুটমিলের পাট বিভাগের সাবেক প্রধান এম এ এইচ মনোয়ার আলীসহ তিনজনকে দায়ী করেছে নিরীক্ষা অধিদপ্তর

তিন বছর ধরে পাওয়া চেয়ে সরকারের নানান দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অর্থের নিশ্চয়তা নেই। চার অর্থবছরে বিজেএমসি’র কাছে পাট ব্যবসায়ীদের সব মিলিয়ে পাওনা ২৬৫ কোটি টাকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply