চট্টগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং, নেপথ্যে ‘বড় ভাই’রা

|

চট্টগ্রামে পাড়া মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং। নেপথ্যে আছে কথিত ‘বড় ভাই’রা। ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙিয়ে এদের অপকর্মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় কিশোর গ্যাং ও বড় ভাই’দের নতুন তালিকা তৈরি করছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ-সিএমপি।

ছিনতাই, অপহরণসহ নানা অপরাধে অন্তত চারটি মামলা রয়েছে সাদ্দাম হোসেন ইভানের বিরুদ্ধে। চকবাজার এবং পাঁচলাইশ থানা এলাকায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং। পরিচয় দেন নগর ছাত্রলীগের এক নেতার অনুসারী হিসেবে।

সিটি কলেজের সামনে মুজিবনগর ক্লাবের নামে কিশোর গ্যাং তৈরি করেছেন মোশাররফ হোসেন ওরফে ডাবু ফয়সাল। চলেন মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির এক সদস্যের অনুসারি পরিচয়ে। রাজনৈতিক ছায়া থাকায়, তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পান স্থানীয়রা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব:) এমদাদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক কালচারে একটা কু জিনিস প্রচলিত হয়ে গেছে। সেটা হচ্ছে কিশোর গ্যাংদের ব্যবহার করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা।

গেলো বছর নগরীর ১৬ থানায়, ৫৩৫ জন কিশোর গ্যাং সদস্যের তালিকা এবং শেল্টারদাতা ৪৭ জন কথিত গডফাদার বা বড় ভাইয়ের তালিকা করেছিল পুলিশ। যাদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত, ফলে পুলিশও আর এগোয়নি।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সন্ত্রাসী ধরলে কারা ফোন করে, কারা তাদের বাঁচাতে চায় তাদের মুখোশ উন্মোচন করলে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

তবে এবার এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাং ও নেপথ্যের বড় ভাইদের নতুন তালিকা তৈরির জন্য ১৪৫ বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।

সিএমপি পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, কিশোররা এখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাদেরকে যারা ভুল পথে পরিচালিত করছে আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখন আমরা অ্যাকশনে যাবো।

সিএমপির তথ্য মতে, গেল ১ বছরে কিশোর অপরাধীদের হাতে খুন হয়েছে অন্তত ১০ জন। মামলা হয়েছে শতাধিক ঘটনায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply