দিনাজপুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, ১ ধর্ষকসহ সহায়তাকারী নারী গ্রেফতার

|

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের বিরলে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এক ধর্ষক ও সহায়তাকারী এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত আরও এক ধর্ষক পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার রাণীপুকুর ইউপি’র জগতপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওই ছাত্রী গত ৩ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় কোচিং করার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তায় উঠে। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই এলাকার সুমনের কন্যা শানু আরা (২৪) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী ইউপি’র পলাশবাড়ী মুন্সিপাড়া গ্রামের বুদু মোহাম্মদের পুত্র লিটন হোসেন (৩০) ও একই ইউপি’র কটিয়াপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের পুত্র মোস্তফা (২৮)’র হাতে তুলে দেয়। লিটন ও মোস্তাফা ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক একটি চার্জার ইজিবাইকে করে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বিরল-দিনাজপুর সড়কের কাঞ্চন মোড় এলাকার জীবন মহলে নিয়ে গিয়ে দুজনেই জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই দিনেই তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিকাল ৬ টার দিকে দিনাজপুর শহরে নিয়ে গেলে ঢাকাগামী কোচ না পেয়ে তাকে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমবাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানেও ঢাকায় যাবার কোচ না পেয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা শহরে পৌছায়। সেখানে কোচে করে তাঁরা ৩ জনে ঢাকা বাইপাইলে পর দিন ৪ অক্টোবর রবিবার সকালে পৌঁছালে ধর্ষকরা ওই ছাত্রীকে অজ্ঞাত একটি বাড়ীতে তুলে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারোও লিটন ও মোস্তফা জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এ কাজে সহায়তাকারী নারী শানু আরাকে চাপ দিলে পরদিন ৫ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ধর্ষক লিটন ও মোস্তফা ধর্ষিতা ছাত্রীকে নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসে। পরে ওই ছাত্রী পরিবারের লোকজনদের এ ঘটনা জানালে ধর্ষিতা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ৩ জনকে আসামী বিরল থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার পর পুলিশ ওই রাতেই ধর্ষক লিটন ও একাজে সহায়তাকারী নারী শানু আরাকে নিজ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার হয়। তবে ধর্ষক মোস্তফা পলাতক রয়েছে।

বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহার হবার সাথে সাথে আমরা ধর্ষক লিটন হোসেন ও সহায়তাকারী শানু আরাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। অপর ধর্ষক মোস্তফা পলাতক রয়েছে। আমরা তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply