ইরানে পরমাণু প্রকল্পে আন্তর্জাতিক নজরদারি বন্ধে বিল পাস, সম্মতি নেই প্রেসিডেন্টের

|

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং পরমাণু প্রকল্পে আন্তর্জাতিক নজরদারি বন্ধে বিল পাস করলো ইরানি পার্লামেন্ট। পশ্চিমা বিশ্ব আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে, ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন কট্টর আইনপ্রণেতারা। ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডের পর আসে এ পদক্ষেপ। এতে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিলটির বিরোধিতা করেছেন, ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

বিলে, ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পশ্চিমা দেশগুলোকে বেঁধে দেয়া হয়েছে দু’মাসের সময়। শর্তভঙ্গে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে উল্লেখিত মাত্রার চেয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প প্রায় ৪ শতাংশ বাড়াবে পার্লামেন্ট। পাশাপাশি, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ বন্ধের কথাও বলা হয়েছে।

ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবন্দি বলেন, “দুই থেকে চার মাসের মধ্যে আরাক পরমাণু চুল্লি সক্রিয় করতো চাই আমরা। পুরোনো আর নতুন সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করাও লক্ষ্য। আমাদের সক্ষমতার তুলনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া এখনও সীমিত পরিসরেই চলছে।”

কয়েক বছর ধরেই পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে রুহানি সরকারের কঠোর অবস্থান দাবি করে আসছিলেন পার্লামেন্টের কট্টরপন্থি সদস্যরা। আইন হিসেবে কার্যকরে আরও দুই ধাপে অনুমোদন পেতে হবে বিলটিতে। পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ইরানের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়বে বলে বিলটির বিরুদ্ধে অবস্থান তুলনামূলক মধ্যপন্থি রুহানি সরকার।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, “পার্লামেন্টে অনুমোদিত বিলটিতে সরকারের সম্মতি নেই। বিশ্ব কূটনীতিতে ইরানের শক্ত অবস্থানের পথে এ বিল বড় বাধা। বাতিল হওয়া ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি ফেরার চেষ্টাও ব্যাহত হবে এতে।”

এদিকে, ফাখরিজাদেহ হত্যার ঘটনায় এখন নীরব অভিযুক্ত ইসরায়েল। উল্টো এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরে নামানো হয়েছে দেশটির এযাবৎকালের সবচেয়ে আধুনিক রণতরী ‘সার সিক্স’।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply