কন্যা সন্তান জন্ম হলে উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা

|

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

কন্যা সন্তান বোঝা নয় আশীর্বাদ, কন্যা সন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। কন্যা সন্তান জন্ম হলে ফোন করুন উপহার পৌঁছে যাবে সাথে সাথেই। এ ধরনের ফেস্টুন টানিয়ে রেখেছে টাঙ্গাইল কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো. মোশারফ হোসেন।

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদের ক্রিয়েটর নওশাদ রানা সানভী বলেন, আমি কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে যাই একটি কাজে, সেখানে ফাঁড়ির ইনচার্জের রুমে প্রবেশ করেই দেখি ফেস্টুন। ফেস্টুনের লেখা দেখে খুব ভালো লাগে। তা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে গ্রুপে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। হাজার হাজার লাইক কমেন্ট শেয়ার হয়। সাথে সাথেই মোশারফ হোসেনের ফোনে ফোন আসতেই থাকে বিভিন্ন জেলা ও দেশের বাইরে থেকেও। তাকে অনেকেই সাধুবাদ জানান এবং টাঙ্গাইল থেকে অনেকে উৎসাহী হয়ে তাকে ফোন করে ঠিকানা দেন।

উপহারপ্রাপ্ত মাসুদা খাতুন বলেন, কন্যা সন্তান জন্ম হলেই পাবেন পুরস্কার ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তার এমন স্ট্যাটাস দেখে আমি পুরস্কার নিতে এসেছি। আমি পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত। আমার প্রথম কন্যা সন্তান হয়েছে। কন্যা সন্তান হওয়ায় আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই খুবই খুশি।

এ বিষয়ে গোলাম রাব্বানী রাসেল বলেন, আমি দুইটি কন্যা সন্তানের পিতা। আমি খুবই খুশি। আর পুলিশ কর্মকর্তার উপহার পেয়ে আনন্দিতও হয়েছি।

সুমাইয়া আক্তার সাথী বলেন, আমি উপহার পেয়ে খুবই আনন্দিত। আমার কন্যা হওয়াতে কোনো দুঃখ কষ্ট নেই।

মোশারফ হোসেন বলেন, আমি গ্রাম এলাকায় লক্ষ্য করেছি কন্যা সন্তান হলে অনেকে মন খারাপ করে আমি তাদের উৎসাহিত করি। তাদের বুঝায় ছেলে মেয়ে সব সমান। মেয়েরা শিক্ষায় এবং কর্ম জীবনে এখন অনেক এগিয়ে ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা আছেন। তবে আমার তেমন সামর্থ্য নেই তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের সাধ্যমতো উপহার দিতে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনেই আমি ৫টি পরিবারের কাছে উপহার পৌঁছে দিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে একটি ক্রেস্ট, ডায়াপার এবং লোশন। তবে সবার কাছে অনুরোধ থাকবে এটি শুধু আমার কর্মস্থল সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়ির এলাকার জন্য।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply