ভারতে নির্যাতিত তরুণীকে ফেরানোর উদ্যোগ, ফেসবুক দেখে নির্যাতক ‘টিকটক হৃদয়’ শনাক্ত

|

রিফাতুল ইসলাম হৃদয় বা 'টিকটক হৃদয় বাবু'।

বাংলাদেশের নিখোঁজ এক তরুণীকে নির্যাতনের শিকার হতে দেখা যায় ভারতে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে দেশে ফেরাতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়। ওই তরুণী ও অভিযুক্তরা সবাই এখনো ভারতেই রয়েছেন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নারী নির্যাতনের ভিডিও’র দেখে মূল হোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় বা ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ কে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রায় ২০-২২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে কয়েকজন জন যুবক ও একটি মেয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করছে, এমন দৃশ্য দেখা গেছে ভিডিওতে। সাইবার পেট্রোলিংয়ের অংশ হিসেবে ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসে। যৌন নির্যাতনকারী একজনের চেহারার সঙ্গে মগবাজার এলাকার এক যুবকের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করা ছবির মিল পাওয়া যায়। ওই আইডি ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার মাকে ভিডিওটি দেখালে তিনি স্বীকার করেন, ভিডিওতে তার ছেলে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ রয়েছেন। মগবাজারের অনেকেই তাকে চেনেন। হৃদয়ের বয়স ২৬ বছর।

তিনি জানান, ১৫-১৬ দিন আগে ভারতের কেরেলায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর বাবা ফুটেজ দেখে তার মেয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশ জানায়, কৌশলে হৃদয়ের মামার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিন মাস আগে সে ভারতে গেছে বলে জানা গেছে। ভাইরাল হওয়া নির্যাতনের সাথে হৃদয় ও তার কয়েকজন বন্ধু জড়িত। হৃদয় বর্তমানে পুনেতে অবস্থান করছে। সে কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে তার বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে। পুলিশের ধারণ তারা সংঘবদ্ধ একটি মানবপাচার চক্র। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদেশ যেতে আগ্রহী মেয়েদের তারা প্রলুব্দ করে পাচার করতো।

পুলিশ জানায়, ওই তরুণী সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। তিন মাস আগে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হন। তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানে না পরিবার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply