নেতা হয়ে কখনোই নিজের দলের খেলোয়াড়দের সমলোচনা করবো না: তামিম

|

প্রতিপক্ষ শিবির মুশফিক রহিমকে বড় ক্রিকেটার হিসেবেই দেখে। যা তাকে দেয় বাড়তি সুবিধা। সাফল্যের গোপন কথা জানাতে গিয়ে এমনটাই বললেন সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা মুশফিক। অন্যদিকে পরিপূর্ণ সিরিজ খেলতে না পারার আক্ষেপ অধিনায়ক তামিম ইকবালের। পাশাপাশি বাজে পারফরমেন্সের জন্য তরুণদের এখনই কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে রাজি নন তিনি।

প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে পারফরমেন্সে সিরিজ জয়। কিন্তু তারপরও অপ্রাপ্তি ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। সেই আক্ষেপ ঘুচেনি শেষ ম্যাচেও। সাকিব-তামিমদের ব্যর্থতায় ব্যাটিং দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো।

৯৭ রানের হারে অতৃপ্তি পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট না পাওয়ার। ম্যাচ শেষে তাই নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে না পারার আফসোস টাইগার অধিনায়কের কন্ঠে। তামিম বলেন, আমি আগেই বলেছি, আমরা সিরিজ জিতেছি কিন্তু নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পারিনি। সিরিজে আমাদের সম্ভাবনার পুরোটা দিয়ে খেলতে পারিনি। বিশেষ করে এই ম্যাচে শর্ট বল বেশি করেছি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিস হয়েছে। আমাদের কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে।

সিরিজে তামিমের পাশাপাশি নিষ্প্রান সাকিব আল হাসান। তাদের পথ অনুসরণ করেছেন তরুণরা। নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ আফিফ, লিটন, নাঈমরা। তবে তরুণদের এখনই কাঠগড়ায় দাঁড় কড়াতে চান না টাইগার দলপতি।

তামিম আরও বলেন, সিনিয়রদের ওপর ভরসা করাটা দুশ্চিন্তার। আমি সব সময় তরুণদের ওপর ভরসা রাখি। তাদের সমালোচনা করি না। কারণ তারা অনেক পরিশ্রম করে। তরুণরা ভালো করলে দল হিসেবে আমরা আরও সমৃদ্ধ হবো। সমালোচনা করা সহজ। কিন্তু আমি সে পথে নেই।

তিন ম্যাচে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ২৩৭ রান মুশফিকুর রহিমের। হয়েছেন সিরিজ সেরা। তবে অতৃপ্তি শেষটা রাঙাতে না পারার।

মুশফিক বলেন, যখনই প্রত্যাশার চাপ ঘিরে ধরে, আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করি। জানি, প্রতিপক্ষ আমাকে বড় খেলোয়াড় হিসেবেই চিন্তা করে। যা আমাকে বাড়তি সুবিধা দেয়। তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলেও শেষটা ভালো করতে পারলাম না।

শেষ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট হারালেও আইসিসি সুপার লিগ টেবিলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে বাংলাদেশ। বিপরীতে নিজেদের নামের পাশে প্রথমবারের মতো ১০ পয়েন্ট যোগ করলো শ্রীলঙ্কা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply