প্রাচীন বাড়ির নিচে অর্ধশতাধিক মাটির কলস; গুপ্তধন দেখার আশায় মানুষের ভিড়

|

বাড়িটিতে যতোই খোঁড়া হচ্ছে, ততোই মাটির তলায় মিলছে একের পর এক কলস।

চট্টগ্রামে ৩০০ বছরের প্রাচীন এক বাড়ি ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। বাড়িটি ভাঙার পর তৈরি হয়েছে নাটকীয় এক পরিস্থিতি। যতোই খোঁড়া হচ্ছে, ততোই মাটির তলায় মিলছে একের পর এক কলস। গুপ্তধন মনে করে চাঞ্চল্যও দেখা দেয়। কাণ্ডটি দেখতে লেগে আছে উৎসুক জনতার ভিড়।

চট্টগ্রামের পাথরঘাটা নজু মিয়া লেইনে প্রায় ৩শ’ বছর আগে নির্মিত শরিয়ত উল্ল্যাহ সওদাগরের একতলা জরাজীর্ণ বাড়িটি ভাঙতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব। গুপ্তধন দেখার আশায় দূরদূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে।

গত দুদিনে অর্ধশতাধিক কলস মিললেও ভেতরে খালি। শরিয়ত উল্ল্যাহ সওদাগরের চতুর্থ প্রজন্মের ওয়ারিশদের ধারণা, সেসময় নিরাপত্তা বা কারিগরি কৌশলের অংশ হিসেবেই হয়তো দেয়া হয়েছিলো রেঙ্গুন থেকে আনা এসব কলস।

শরিয়ত উল্ল্যাহ সওদাগরের চতুর্থ প্রজন্মের ওয়ারিশ ফারুক বলেন, অনেক মানুষ ট্রাকে করে এখানে দেখতে আসতেছে। দেখার পর মটকাগুলো তুললাম। দেখি সবগুলো খালি। মটকার মধ্যে কিছু নেই।

শরিয়ত উল্ল্যাহ সওদাগরের চতুর্থ প্রজন্মের ওয়ারিশ আবুল মনসুর বলেন, এই বাড়ি সংরক্ষণ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন আছে। এত টাকা কোথায় পাবো। তাছাড়া আমার থাকার ব্যবস্থা নেই।

৪০ ইঞ্চি চওড়া দেয়াল, বড় বড় পিলার, কাঠের বিমের উপর ছাদ, সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপোযোগী হলেও পুরোনো স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত বাড়িটির জৌলুশ এখনও বিদ্যমান। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় এটি ভেঙ্গে চলছে নতুন ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া।

জানা যায় সুরম্য বাড়িটি নির্মাণে তখন খরচ হয়েছিলো ২৫ হাজার রুপি। তবে মাটির তলায় এতগুলো কলস কেনো, তার সঠিক কারণ জানা নেই কারও।
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply