জোয়ারের পানিতেই একবেলা ডুবে থাকছে হাসপাতাল

|

জোয়ারের পানিতে দিনে একবেলা ডুবছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল।

চট্টগ্রামের জলমগ্ন এক হাসপাতালে দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। বৃষ্টি হলে তো বটেই, না হলেও জোয়ারের পানিতে দিনে একবেলা ডুবছে বন্দরনগরীর বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল। ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বছরের পর বছর ভোগান্তিই যেনো এখানকার চিকিৎসক, রোগী ও স্বজনদের নিয়তি।

কোনো বৃষ্টি ছাড়াই রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়াতেও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল সাগরের জোয়ারের পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার জন্য পানিবন্দী থাকতে হয় সবাইকে। মারাত্মকভাবে ব্যহত হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা।

হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, হাসপাতালে পানির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় সবাইকে। রোগীরা এসে সেবা নিতে পারেন না। যেখানে একটু উঁচু জায়গা পান সেখানেই কোনরকম দাঁড়িয়ে থেকে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করেন।

বর্ষা মৌসুমে হাসপাতালটির নিচতলা অনেকটা পরিত্যক্ত পড়ে থাকে। এখানে ভর্তি থাকা রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিলেও, মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয় জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। হাসপাতালটিতে কাজ করা একজন ডাক্তার জানান, রাস্তায় জোয়ারের পানি উঠলে আমাদের হাসপাতালের নিচতলাও প্লাবিত হয়ে যায়। যার ফলে, আমাদের জরুরি সেবা যেটি আছে তা ব্যহত হয়।

পানিতে ডুবে আছে হাসপাতালটির নিচতলা।

এই হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক বলেন, পানি চলে আসার জন্য নিচতলার যেসব রোগীরা থাকেন তাদের উপরে তুলে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দিতে হয়।

বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি। অথচ প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা সেবা নেয় শত শত রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প কবে শেষ হবে সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছে।

এই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন বলেন, প্রকল্পটি ওয়াসা, সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সবাই যেনো নিজেদের মাঝে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে মানুষের কষ্ট লাঘব করতে পারি সেটিই প্রত্যাশা।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply