অলক হাসান:
দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এক ভেন্যু থেকে অনেকটা জোর করে বিদায় করে দেয়াটা মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজন।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের ফুটবল এগিয়ে যাক এটা একটা পক্ষ চায় না। তার জন্যই বারবার তাদেরকে বাজে রেফারিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি নেপালের কোচও।
ম্যাচ শেষ হবার পর রেফারির দিকে তেড়ে যায় গোটা দল। এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ফুটবলাররা। সাথে ছিল উত্তেজিত জনতাও। তাই তো শেষ পর্যন্ত পুলিশের পাহারায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে ম্যাচ অফিশিয়ালদের।
সংবাদ সম্মেলনে যাবার আগে শেষবারের মতো মাঠটিতে পায়চারি করতে দেখা গেলো অস্কারকে। একই মাঠে দেড় মাসের মধ্যে দুইবার তাকে হতাশ হতে হয়েছে। এখানে ফুটবলারদের কোনো দোষ দেখেন না কোচ। জোড় করেই তাদের আটকে দেয়া হলো বলে জানান অস্কার।
অস্কার ব্রুজন বলেন, আমরা ফাইনালে খেলার মতো দল ছিলাম। দল শুধু সেরাই না, আসরের অন্যতম সেরা দল ছিল। ভারত ম্যাচের পর থেকেই একটি চক্র চাচ্ছিল না বাংলাদেশ ফাইনালে খেলুক। এএফসি কাপেও এমন হয়েছে, বাংলাদেশের ফুটবলকে দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে একটি চক্র। তবে আজ যেটা হয়েছে সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শুধু পেনাল্টিই নয়, জিকোর লাল কার্ডও সঠিক ছিল না বলে জানান অস্কার। অনেকটাই ষড়যন্ত্র করেই বাংলাদেশকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে দাবি তার।
ব্রুজন আরও জানান, আপনি যদি মনে করেন এই পেনাল্টিই প্রথম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল, আমি বলবো না। কারণ আমি জিকোকে জিজ্ঞাসা করেছি ও বললো সে হাতই খোলেনি বল ধরার জন্য। বুঝতেই পারছেন, কী হয়েছে আমাদের সাথে।
এদিকে নেপাল কোচকে পেনাল্টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তার মতে এটি একটি ফিফটি ফিফটি সিদ্ধান্ত হতে পারতো।
ইউএইচ/
Leave a reply