ইয়াজিদি গণহত্যায় জড়িত আইএস সদস্যকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মান আদালত

|

রায় ঘোষণার দিন একটি ফোল্ডার দিয়ে মুখ ঢেকে আদালতে উপস্থিত হয় আল জুমাইলি (২৯)।

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক যোদ্ধাকে ইরাক-সিরিয়ার সংখ্যালঘু ইয়াজিদিদের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত। ২০১৯ সালে গ্রিসে গ্রেফতারের পর তাকে জার্মানির হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। খবর রয়টার্সের।

গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করে। গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমবারের মত কোনো আইএস সদস্যের সাজা হওয়ায় ফ্রাঙ্কফুর্ট আদালতের এ রায়কে ঐতিহাসিক বলছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।

ইরাকের নাগরিক তাহা আল জুমাইলি (২৯) ২০১৩ সালে আইএসের সদস্য হয় এবং পরে ইরাকে বসবাসরত তিন হাজারের বেশি সংখ্যালঘু ইয়াজিদিকে হত্যা করে। এসময় জুমাইলি ৭ হাজারের বেশি ইয়াজিদি নারীকে দাস বানিয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিলেন অপ্রাপ্তবয়স্ক। জুমাইলির বিরুদ্ধে ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে দাস বানিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং তীব্র গরমের মধ্যেও তাকে পানি না খেতে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।

রায় ঘোষণার দিন আল-জুমাইলি একটি ফাইল ফোল্ডার দিয়ে মুখ ঢেকে আদালতে প্রবেশ করে। আল-জুমাইলির জার্মান স্ত্রী জেনিফার ভেনিসও এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আদালত কর্তৃপক্ষ। নিহত ওই ইয়াজিদি শিশু ও তার মাকে দাস বানানোর সম্পৃক্ততার দায়ে গত মাসে জেনিফারকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ফ্রাঙ্কফুটের আদালত।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply