সিরিয়ার কারাগারে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান, জিম্মিদের উদ্ধার

|

ছবি: সংগৃহীত

শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর অবশেষে সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশের কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে জিম্মিদের। এমন দাবি করেছে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) আত্মসমর্পণ করে আড়াইশ’র বেশি জঙ্গি। পলাতক আরও প্রায় ৩শ’ আইএস সদস্যকে উদ্ধারে এখনও চলছে অভিযান।

আইএস’র বিরুদ্ধে অভিযানে এগিয়ে চলেছে কুর্দি বাহিনী। হাসাকা প্রদেশের গোয়েইরান কারাগারের এই মিশনে অংশ নেয় সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। সেই সাথে যোগ দেয় সিরিয়ান কুর্দিশ মিলিশিয়াও (ওয়াইপিজি)।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারটিতে হামলা চালিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। কয়েকজন নেতাসহ গোষ্ঠীটির সাড়ে তিন হাজারের মতো বন্দি আছে সেখানে। কারাগারের আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীসহ কয়েকজন কর্মীকে জিম্মি করা হয়। তাদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক জোটের সহায়তায় চলে অভিযান। অবশেষে বড় সাফল্য আসে মঙ্গলবার। অবসান হয় জিম্মি দশার এবং আত্মসমর্পণ করে জঙ্গিদের অনেকে, যাদের প্রায় অর্ধেকের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদেরই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল আইএস।

ছবি: সংগৃহীত

এসডিএফ’র মুখপাত্র ফরহাদ শামি বলেন, পরিস্থিতি আমাদের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। অভিযানে এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ, কয়েকটি সেলে প্রায় ৭শ’ কিশোর ছিল। এদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গিরা। সে কারণেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সাবধান হতে হয়।

কুর্দি বাহিনী জানায়, এখনও পলাতক রয়েছে ৩শ’র মতো জঙ্গি। তাদের আটকে অভিযান চলবে। ফরহাদ শামি বলেন, আটক জঙ্গিদের বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যারা পলাতক তাদের ধরতে চলবে অভিযান।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধার হবে: রঈসি

গত কয়েকদিন আইএস-কুর্দি বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল। তুমুল সংঘাতে প্রাণ হারায় দু’পক্ষের ১৬০ জনের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে আছে শিশুসহ অনেক বেসামরিক নাগরিক। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায় প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা; সংঘাত হলে পাশে থাকবে পশ্চিমা মিত্ররা: জেলেনস্কি


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply