টাক থাকা বা চুল কমে যাওয়ার দরুণ আমরা অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগেন। এ নিয়ে অনেক সময় রসিকতার শিকারও হতে হয়। তারপর যদি বিয়ের প্রসঙ্গ আসে, তা হলে তো কথাই নেই! অনেকেই তখন মরিয়া হয়ে চুল প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। যাতে বিয়ের আসরে তাচ্ছিল্যের মুখোমুখি হতে না হয়। সে রকমই একটি সিদ্ধান্ত এক যুবকের প্রাণ কেড়ে নিল। তাও বিয়ের ঠিক আগেই।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১১ মার্চ) পটনার শেখপুরার যুবক মনোরঞ্জন একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিহার মিলিটারি পুলিশে কাজ করতেন।
১১ মে মনোরঞ্জনের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। তার মাথায় চুল কম থাকায় বিষয়টি নিয়ে একটু বিব্রত ছিলেন পুলিশকর্মী মনোরঞ্জন। বিয়ে ঠিক হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন চুল প্রতিস্থাপনের।
কোথায় চুল প্রতিস্থাপন করানো হয় তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করতেই পাটলিপুত্রে একটি ক্লিনিকের খোঁজ পান। চুল প্রতিস্থাপনের জন্য গত ৯ মার্চ মনোরঞ্জন ওই ক্লিনিকে যান। সেখানে চুল প্রতিস্থাপন করানোর পর বাড়ি ফিরে আসেন।
মনোরঞ্জনের ভাই গৌতম জানান, চুল প্রতিস্থাপন করানোর পর বাড়ি ফেরার পরই মনোরঞ্জনের মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। বুকে জ্বালা অনুভব করেন।
এরপর কেন এমন হচ্ছে তা জানতে পরের দিন আবার ওই ক্লিনিকে যান মনোরঞ্জন। সেখানে তার চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই ক্লিনিকের কর্মীরাই মনোরঞ্জনকে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। ১১ মার্চ সকালে মনোরঞ্জনের মৃত্যু হয়।
মনোরঞ্জনের ভাই গৌতমের অভিযোগ, মনোরঞ্জনের মৃত্যুর খবর জানার পরই তার চুল প্রতিস্থাপনের সমস্ত নথি নিয়ে ওই ক্লিনিকের মালিক এবং কর্মীরা উধাও হয়ে গেছেন।
নিহিতের পরিবার ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। চুল প্রতিস্থাপনের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘রুশ মায়েদের প্রতি অনুরোধ, সন্তানকে অন্য দেশে যুদ্ধে পাঠাবেন না’
এনবি/
Leave a reply