কারাগারের ভেতরেই কলেজ ক্যাম্পাস। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সান কোয়েন্টিন জেলে দেখা যাবে মাউন্ট ট্যামোপায়েস কমিউনিটি কলেজ নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। যেখানে উচ্চ শিক্ষা পাচ্ছেন কয়েদিরা। প্রিজন ইউনিভার্সিটি প্রকল্পের আওতায় ২৫ বছর ধরেই মিলছে এ সুযোগ। আগে স্থানীয় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কার্যক্রম চললেও সম্প্রতি স্বাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে কলেজটি।
আর দশটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা মাউন্ট ট্যামোপায়েস কমিউনিটি কলেজ। কারণ এর ক্যাম্পাসের অবস্থান কারাগারের ভেতরেই। কয়েক দশক ধরে এখানে সাহিত্য, ক্যালকুলাস, মার্কিন রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা পেয়ে আসছেন কয়েদিরা। আশপাশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ক্লাস নেন এখানে।
সাবেক কয়েদিরা বলছেন, এ ধরনের সংশোধনী কার্যক্রম কারাগারের পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে পরিবর্তন তৈরি করে। কয়েদিদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনে। তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে। জেলের ভেতরও যে স্বাধীন কলেজ হতে পারে তাও ভাবনার অতীত ছিল অনেকের। এখানে কয়েদিরা কেবল শিক্ষা পাচ্ছে না, তারা আশার আলো দেখছেন বলেও মন্তব্য সাবেক কয়েদিদের।
প্রিজন ইউনিভার্সিটি প্রকল্পের আওতায় আগে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো কলেজটি। সম্প্রতি ওয়েস্টার্ন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুলস অ্যান্ড কলেজেসের অনুমোদন পেয়ে তা স্বাধীন কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে।
মাউন্ট ট্যামোপায়েস কমিউনিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট জডি লিউয়েন বলছেন, ২০ বছর ধরে ওকল্যান্ডের একটি ছোট কলেজের অংশ ছিলাম। কয়েক বছর আগে সিদ্ধান্ত নেই স্বাধীনভাবে কার্যক্রম শুরুর। সেটা কার্যকর হয়েছে। যতদূর জানি, এটাই কোনো কারাগারের অভ্যন্তরে প্রথম স্বাধীন ও অনুমোদিত কলেজ।
কয়েদিজীবন শেষ হলেও ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে এখানকার শিক্ষার্থীরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply