বাজারে সব ধরনের পণ্যের দামই এখন আকাশছোঁয়া

|

আকাশ ছুঁয়েছে সব ধরণের পণ্যের দাম।

ভোজ্যতেলের দাম ক্রেতার হাতের নাগালে নেই। তাই বলে অন্যান্য পণ্যের দাম যে সহনীয়, তেমনটিও নয়। বাজারের সব কিছুর দামই এখন প্রায় আকাশচুম্বী। তীব্র হয়েছে মুল্যস্ফীতির উত্তাপ। ভোগ্য এবং নিত্য ব্যবহার্য পণ্যমূল্য এখন অসহনীয়। সাম্প্রতিক বাজারমূল্য বিশ্লেষণ করেছে কনজ্যুমার ফোরাম। সেখানে দেখা যায়, গেল জানুয়ারির তুলনায় মার্চে নতুন করে বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের দাম। এবং অব্যাহত রয়েছে মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা।

শুধু তেলই নয়, বেড়েছে সব ধরনের চাল, ডাল, পেঁয়াজ, লবণ থেকে শুরু করে সাবান-ডিটারজেন্টের দামও। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা দায়ী বটে। কিন্তু সেই সুযোগ নিচ্ছে অতি মুনাফালোভী গুটিকয়েক ব্যবসায়ী। অভিযানের পর অভিযান হলেও বাজারে আসছে না শৃঙ্খলা। লাভের সীমা কতোটুকু হবে তা নিদিষ্ট করা হচ্ছে না।

বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের তালিকায় শুরুতেই আসবে চাল। জানুয়ারির তুলনায় মার্চে চালের দাম বেড়েছে অন্তত ৭ ভাগ। বর্তমানে চালের দাম আরও বেশি। দেশি সাদা প্যাকেট করা মসুর ডালের দাম তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ ভাগের বেশি। সয়াবিন তেলের দামের উত্তাপে ঊর্ধ্বমুখী সরিষার তেলের বাজারও; ২৫০ টাকার সরিষার তেলের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে।

লবণের দামও লাগামহীন। এক কেজির এক প্যাকেট লবণ গেল জানুয়ারিতে ছিল ২৫ টাকা। মানভেদে লবণ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বেড়েছে আটার দামও। কেজিতে প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে তিন টাকা। শিশুখাদ্য গুঁড়ো দুধের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

এদিকে, প্যাকেটজাত মসলার দামেও রয়েছে অস্থিরতা। কনজ্যুমার ফোরামের তথ্য বলছে, নানা ধরনের প্যাকেট করা মসলার দাম বেড়েছে ১৩ ভাগ। ন্যুডলস এবং স্যুপের দাম বেড়েছে ২ ভাগ। বেড়েছে সাবান, ডিটারজেন্টের দামও। এই ধরনের পণ্যের দাম মার্চে বেড়েছে সাড়ে ৩ ভাগ।

বলা হচ্ছে, খাদ্যপণ্যের বাজার গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দরকার সঠিক কৌশল। এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক বলেন, দেশে উৎপাদিত লবণের দামও যদি আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে বাড়ানো হয়, তাহলে ভোক্তারা আর মুক্তি পাবেন কোথায়? যে সিজনের যে পণ্য, তার দাম কমে যায়। সেটা কিন্ত এখন আর এখানে কার্যকর হচ্ছে না। কেউ কাউকে তোয়াক্কা করছে না। বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত যে যেভাবে যেখানে যাকে পারছে চেপে ধরছে।

বাজার তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে কনজ্যুমার ফোরাম।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply