‘মুজিব’ বায়োপিকের ট্রেলারে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার জবাব দিলেন নির্মাতা

|

ছবি: সংগৃহীত

কান চলচ্চিত্র উৎসবে তারকাদের মিলনমেলার বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর ট্রেলার। ট্রেলারটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাংলাদেশের দর্শকদের বড় একটি অংশ হতাশা প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।

বঙ্গবন্ধু চরিত্রে আরিফিন শুভর কণ্ঠ, ভিএফএক্স, যুদ্ধের দৃশ্যায়ন মনোপুত হচ্ছে না অনেকের। ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা সিনেমার নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকে এক হাত নিচ্ছেন। তুমুল সমালোচনার মধ্যে এবার মুখ খুললেন শ্যাম বেনেগাল।

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবির নির্মাতা এমন সব সমালোচনায় বিস্মিত। ট্রেলার দেখেই কেন সবাই হতাশ হচ্ছেন তা বুঝতে পারছেন না তিনি।

রোববার দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নানা মন্তব্য এসেছে বলে আমি শুনেছি। তারা কেন বিরক্ত তা অনুমান করা আমার পক্ষে খুব কঠিন। শুধু ট্রেলার দেখে পুরো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক না। সমালোচনা করাও ঠিক না। মানুষ এখনও পুরো সিনেমা দেখেনি। ৯০ সেকেন্ডের ট্রেলার দেখে তো আপনি পুরো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি শুধু ট্রেলার নিয়েই মন্তব্য করতে পারেন।

এ নির্মাতা আরও বলেন, সোমবার অফিসে গিয়ে বিষয়টি আবার আমি দেখবো। কানে ট্রেলারের উপস্থাপনা খুব ভালো ছিল। সেখানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও তাদের দূত উপস্থিত ছিলেন। কী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে তা আমি জানতে চাই।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলার উচ্চারণের পার্থক্য রয়েছে, এটা নিয়ে বাংলাদেশিরা গর্ব অনুভব করে। সিনেমাতে এসবই আছে। এ কারণে আমি শুধু বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়েছিলাম; কারণ তারা বঙ্গবন্ধু মুজিবকে অনেক কাছ থেকে অনুভব করবে।

প্রসঙ্গত, ভারতে বায়োপিক নির্মাণে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন শ্যাম বেনেগাল। ৭০টি প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এ নির্মাতা। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন ৮৭ বছর বয়সী এ নির্মাতা। ২০১০ সালে ‘ওয়েল ডান আব্বা’ সিনেমাটি ছিল শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত শেষ ফিচার ফিল্ম। জাতির পিতার জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দিয়ে ১২ বছর পর ফিচার ফিল্ম নিয়ে ফিরলেন শ্যাম বেনেগাল।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply