আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক ও তালেবান প্রধান হিজবুল্লাহ আখুন্দজাদা বহুবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতে, দেশে চলমান অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে একের অধিক বিবাহ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অনুচিত। তাই আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তালেবান সদস্যদের বহুবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অবশ্য এখনই এ নির্দেশনা গোটা আফগানিস্তানের পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। শুধুমাত্র তালেবান সদস্যদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক থাকবে এ নির্দেশনা। কাবুল ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বাখতারের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দ্য প্রিন্ট।
তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে ‘ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান’ নামকরণ করা হয়েছে দেশটির এবং সেই সাথে শরিয়াহ আইন অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই আইনে একজন পুরুষের সর্বোচ্চ ৪টি বিয়ে করার অনুমতি থাকে। বহু আগে থেকেই আফগানিস্তানে বহুবিবাহ প্রথা চলে আসছে। তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর সকল বিদেশি অর্থায়ন বন্ধসহ নানা জটিলতায় আফগানিস্তানের অর্থনীতি এখন ভঙ্গুর প্রায়। তাই এই অবস্থায় নিজেদের দলের সদস্যদের বহুবিবাহ করে সাংসারিক খরচ না বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হিজবুল্লাহ আখুন্দজাদা।
এ নিয়ে আখুন্দজাদার স্বাক্ষ্যরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তালেবান সদস্যদের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ে করা এখন এড়িয়ে চলতে হবে। আদেশক্রমে আমর-উল-মারুফ মন্ত্রণালয় বা সদগুণ প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড দমন মন্ত্রণালয়। যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে বলেও জানানো হয় এই নির্দেশনায়।
Again a decree on women by Taliban.
According to Bakhtar news the Taliban leader has instructed the Ministry of Amr-ul-Ma'ruf, regarding prohibition of unnecessary 2nd, 3rd and 4th marriages by issuing decree.Strictly follow up, identify violators and report to the leadership. pic.twitter.com/xpmXY4yqpY— Afghanistan Rights Watch دیده بان حقوق افغانستان (@AfghanistanRW) May 21, 2022
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে একই ধরনের একটি নির্দেশনা আসে তালেবানের পক্ষ থেকে। সে সময় আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধির সাথে মধ্যস্ততায় ব্যস্ত ছিল তালেবান। বহু বিবাহের ক্ষেত্রে কনেপক্ষের কাছ থেকে যৌতুক স্বরূপ অর্থ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি আদায় করা অর্থনীতির ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ বিবেচনা করেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
এসজেড/
Leave a reply