প্রতারক নারীর ট্রাম্পকার্ড পাসপোর্ট, যেভাবে ফাঁসালেন প্রবাসীকে

|

ইংল্যান্ড প্রবাসী মিনহাজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। এলাকার বহুরূপী এক নারীর প্রতারণায় পড়েছেন তিনি। জানালেন, এই চক্করে খোয়াতে বসেছেন প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি।

ঘটনার শুরু ২০১৪ সালে। মিনহাজের ভাষ্য-সম্পত্তি দেখভালের জন্য আত্মীয় শহীদুলের মাধ্যমে পরিচয় হয় নিশাত আহম্মেদ খানের সাথে। নিজেকে আইনজীবী এবং রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে পরিচয় দেন নিশাত। ২০১৭ সালে মিনহাজ দেশে এসে পাসপোর্টের আবেদন করলে সেই দায়িত্বও নেন নিশাত। মিনহাজের দাবি, এটিই ছিল নিশাতের ট্রাম্পকার্ড। পাসপোর্টে নিশাত নিজেকে মিনহাজের স্ত্রী বলে তথ্য দেন। পরে অজ্ঞাত একজনকে মিনহাজ সাজিয়ে ভুয়া কাবিননামা বানিয়েছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

ইংল্যান্ড প্রবাসী মিনহাজুর রহমান বলেন, ভুয়া কাবিননামা করে দেয়া কাজী জাইদুল হোসাইন এখন জেলে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন তিনি। তাতে অ্যাডভোকেট ফাহমিদা জেবিনের বাসায় ভুয়া বিয়ে হওয়ার কথা উল্লেখ আছে। যদিও ভুয়া নিকাহনামা তৈরি করাতে প্রথমে নিশাত যোগাযোগ করেছিলেন আরেক কাজীর সাথে। ওই কাজী সালাহ উদ্দিন জানান, ভুয়া কাবিননামা করতে আসলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

অভিযোগ উঠেছে-ঢাকায় মিনহাজের একটি ফ্ল্যাট ও ভুয়া হেবা দলিলের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাড়ে ৩০ শতক সম্পত্তি দখলের পর বিক্রির চেষ্টা করেছেন নিশাত। এছাড়া কুমিল্লায় একটি পাঁচতলা বাড়ির ওপর তলা দখল করেছেন তিনি।

নিশাতের প্রতারণার গল্প এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ আছে, ইতালি পাঠানোর নামে দুই যুবকের কাছ থেকেও মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিশাত। নিজেকে মিনহাজের স্ত্রীই দাবি করেছেন তিনি। বললেন, রাস্তা থেকে গিয়ে ওই বাসায় ওঠেননি তিনি। বরং স্ত্রী হিসেবেই মিনহাজ ওই বাসায় উঠিয়েছে তাকে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন অভিযুক্ত নারী। শৃঙ্খলা ভাঙায় গত বছর তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যোবায়দা খানম পারুল তাকে অব্যাহতির কথা নিশ্চত করে জানালেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক নারী তার কাছে চিঠিতে লিখেছেন, ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নিশাত।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply