লিডসের হেডিংলিতে শেষ দিনে ছিল রোমাঞ্চের সকল উপাদান। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে জয়ের জন্য ১১৪ রান দরকার ছিল ইংলিশদের। দিনের শুরুতে ওলি পোপের বোল্ড হওয়ায় যেন নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার ক্ষেত্রও প্রস্তুত করেছিলেন টিম সাউদি। কিন্তু তাতে ক্রিজে নামেন প্রথম ইনিংসে ঝড়ো ১৬২ রান করা জনি বেয়ারস্টো। আর ৪৪ বলে ৭১ রানের প্রায় ওয়ানডে ফরম্যাটের ইনিংসে জো রুটকে নন -স্ট্রাইকে দর্শক বানিয়ে ১৫.২ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে বেন স্টোকসের দল। আর এর মাধ্যমে কিউইদের বিরুদ্ধে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো ইংল্যান্ড।
এর আগে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৬ রানে অলআউট হয়ে নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেলের টানা চতুর্থ শতরানের জুটি আরও একবার স্বস্তি ছড়ায় কিউই শিবিরে। মিচেলের ৫৬ ও ব্লান্ডেলের অপরাজিত ৮৮ রানে ২৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। কোনো সিরিজে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন এ দু’জন। আর প্রথম কিউই ব্যাটার হিসেবে টানা পাঁচ অর্ধশতকের দেখা পান ব্লান্ডেল। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট শিকার করেন ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিচ।
জয়ের জন্য ২৯৬ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই আবারও ট্রেন্ট বোল্টের নতুন বলের সুইং বিপদে ফেলে দুই ওপেনারকে। তবে অ্যালেক্স লিস রানআউট হন কেন উইলিয়ামসন ও বোল্টের দারুণ সমন্বয়ে। এরপর জ্যাক ক্রলি পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে ফেরান ইংল্যান্ডকে। কিন্তু মাইকেল ব্রেসওয়েলের অফস্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে কাভারে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন ক্রলি।
এরপর পোপ-রুট জুটি ওয়ানডের গতিতে চালাতে থাকেন ব্যাট। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম-বেন স্টোকসের যুগে আক্রমণাত্মক মনোভাবের যে ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড, তাতে সাফল্যের হার বাড়ানোর দিকেই যাচ্ছে ইংলিশরা। শেষদিনের শুরুতেই ভাঙে এই দুই ব্যাটারের ১৩৪ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৮২ রানে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন ওলি পোপ। ক্রিজে তখন আসেন জনি বেয়ারস্টো; আর প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে কচুকাটা করতে থাকেন কিউই বোলিং লাইনআপকে। এই ঝড়ের ঝাপটা অনেক বেশি গেছে অফস্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েলের ওপর দিয়ে। ১৫.২ ওভারে ১০৯ রান খরচ করেছেন ব্রেসওয়েল।
বেয়ারস্টোর তোপে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েছেন জো রুট। দিনের শুরুতে ৫৫ রানের ব্যাটিং শুরু করা রুট ভালোই চালিয়ে খেলেছেন পুরো সময়। কিন্তু তার শিল্পিত আগ্রাসনের পাশে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন বেয়ারস্টো। ৮টি বাউন্ডারি ও ৩ ওভার বাউন্ডারিতে বেয়ারস্টো উড়িয়ে দিয়েছেন সকল অনিশ্চয়তা।
/এম ই
Leave a reply