কেবল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশেই প্রতিদিন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন ৫৫ বাংলাদেশি। কোনো যুদ্ধ-সংঘাত না থাকলেও, ইইউতে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকায় উপরের দিকে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজনৈতিক আশ্রয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইইউ। সেখানে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানের পরই ৬ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। ইইউএএ’র তথ্য অনুসারে, গেল বছরই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। অর্থাৎ, দিনে গড়ে অ্যাসাইলামের আবেদন করছেন, ৫৫ বাংলাদেশি।
করোনা মহামারিতে চাপ কমলেও, আবারও বেড়েছে ইউরোপমুখী অভিবাসন প্রত্যাশীর ঢল। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইইউ জানায়, ২০২১ সালে জোটের ২৭ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন ৬ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ। যা, আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।
দেশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে, গেল ছয় বছরে লাখের কাছাকাছি বাংলাদেশি অ্যাসাইলামের আবেদন করেছেন। রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশিদের প্রথম পছন্দ ইউরোপের উন্নত দেশগুলো। মাত্র তিন বছরে ২০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ জানিয়েছেন ফ্রান্সে প্রবেশের আবেদন। প্রায় সমসংখ্যক আবেদন পড়েছে, পাশের দেশ ইতালিতেও।
ইইউ বলছে, বাংলাদেশ থেকে সঙ্গীহীন কিশোর-কিশোরীদের আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। গেলো বছরই ইউরোপে অ্যাসাইলাম চায় ১৩শ’র বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি। তাদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছে ইউরোপে।
বহুদিন ধরেই, বিশ্বের নানা প্রান্তের বিপদগ্রস্ত মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে আসছে ইউরোপের দেশগুলো। অবশ্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমস্যা নেই, এমন যুক্তি দিয়ে বাতিল করা হচ্ছে বেশিরভাগ আবেদন।
আরও পড়ুন: বেতন ৫০ হাজার, অ্যাকাউন্টে ঢুকলো ১ কোটি ৭০ লাখ! চাকরি ছেড়ে লাপাত্তা কর্মচারী
/এম ই
Leave a reply