যথাযথ পদক্ষেপ নিলে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার রোধ সম্ভব: ডব্লিউএইচও

|

মাঙ্কিপক্স নিয়ে আশার কথা শোনালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও এখনও মাঙ্কিপক্সের বিস্তার রোধ সম্ভব। তবে, এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সব দেশকে এখনই নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ। মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে ডব্লিউএইচও। খবর রয়টার্সের।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে মাঙ্কিপক্স। পরিস্থিতি মোকাবেলায় শনিবার ‘জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা’ জারি করে ডব্লিউএইচও। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করলেও এখনই আতঙ্কিত না হয়ে ভাইরাস মোকাবেলায় সব দেশকে একসাথে কাজ করার আহ্বান সংস্থাটির।

ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা ডা. রোজামান্ড লুইস বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি সতর্কতাই ডব্লিওএইচও কর্তৃক সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা। আশা করি, এ সিদ্ধান্তের কারণে ভাইরাসটি প্রতিরোধে আমাদের অংশীদার ও দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের সবাইকে এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এখনও বিশ্বাস করি, যথাযথ পদক্ষেপ নিলে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।

এ ভাইরাসে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিলেও রোগটিতে প্রাণহানির হার একেবারেই কম। এছাড়া গুটিবসন্তের টিকা এ রোগ প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। তাই, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ভ্যাকসিনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে ডব্লিউএইচও। কাজ করছে ভ্যাকসিন বিতরণে বৈষম্য দূর করতে।

ডা. রোজামান্ড লুইস আরও বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভ্যাকসিন, প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে ফেরত দিয়েছে। ডব্লিওএইচও বিশ্বব্যাপী ভ্যাকিসন সমন্বয়ের প্রক্রিয়া নির্ধারণে কাজ করছে। এখনও আমাদের অংশীদারদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।

কেবল সমকামী পুরুষদের মাধ্যমেই রোগটি ছড়ায়, এ ধারণা এরইমধ্যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই, আক্রান্ত ব্যক্তিদের লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply