‘ব্যালন ডি অর’ জয়ী একমাত্র গোলরক্ষক

|

বিশ্বের একমাত্র গোলক্ষক হিসেবে ফিফা ব্যালন ডি অর জিতেছেন তিনি। ১৯৫৮, ৬২ আর ৬৬ বিশ্বকাপে দাপটের সাথে সামানতালে লড়েছেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের এই গোলরক্ষক। তিনি লেভ ইয়াশিন। তার কল্যণে অলিম্পিকে স্বর্ণ, ইউরোর শিরোপার তো সাফল্য পেয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।

১৯৫৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর ১৯৫৮, ৬২ ও ৬৬- তিনটি বিশ্বকাপে মাঠ মাতিয়েছেন ইয়াশিন। তার একক নৈপুণ্যে ৬৬’র ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ফেভারিট হাঙ্গেরিকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারায়েছে সোভিয়েতরা। শিরোপা জিততে না পারলেও বিশ্বকাপে সেবার চতুর্থ স্থান অর্জন করে দলটি। যা এখন পর্যন্ত অতিক্রম করে যেতে পারেনি বর্তমান রাশিয়া।

লেভ ইয়েশিন কেবল মাঠের পারফরম্যান্সে নয় তার ব্যক্তিত্ব দিয়েও গোল কিপিংয়ের ভূমিকাকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ইতিহাসের প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে গ্লাভস পরা শুরু করেন ইয়াশিন। কালো জার্সি আর কালো হ্যাড পরে মাঠে নেমে তার অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য তাকে ‘ব্ল্যাক স্পাইডার’ আর ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ নামে ডাকত সমর্থকরা।

পেলে, ববি চার্লটন, ইউসেবিয়ো, বেকেনবাওয়ার মতো কিংবদন্তী ফুটবলারদের সঙ্গে দাপুটের সাথে লড়েছেন এই সোভিয়েত কিপার। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে রেকর্ড ১৫০টি পেনাল্টি সেভ করেছেন তিনি। দলকে জিতিয়েছেন ১৯৫৬ সালে অলিম্বিক স্বর্ণ, ৬০ সালে ইউরোর শিরোপা। তার এমন অনবদ্য কির্তির জন্য ইতিহাসের একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে ৬৩ সালে ‘ব্যালন ডি অর’ পুরস্কার জেতেন ইয়েশিন।

২০০০ সালে লেভ ইয়াশিনকে একবিংশ শতাব্দির সেরা গোলরক্ষক হিসেব ঘোষণা দেয় ফিফা। তার অনবদ্য কীর্তিকে মনে রাখতেই রাশিয়া বিশ্বকাপের পোস্টার করা হয়েছে ইয়াশিনকে নিয়ে। মাত্র ৬০ বছর বয়সে অসুস্থতার কারণে মারা যান ইয়েশিন। তবে, তার কীর্তি তাকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে।

যমুনা অনলাইন: এইচআর/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply